পদত্যাগ করেও গ্রেপ্তার এড়াতে পারলেন না হেফাজত নেতা

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২১, ২০:২৮ | আপডেট: ০৪ মে ২০২১, ২১:৩৫

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়েও গ্রেপ্তার এড়াতে পারেননি মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন বলেন,  ‘হামলার ঘটনার পর থেকে আব্দুর রহিম কাসেমীর গতিবিধি নজরদারি করে আসছিল পুলিশ। বিকাল ৪টার দিকে সিএনজি অটোরিকশায় করে শহরের দক্ষিণ দিকে যাওয়ার পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

এর আগে হেফাজতের সহিংসতায় জড়িতদের বিচার দাবি করে পদত্যাগ করেছিলেন কাসেমী।

পুলিশ জানায়, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তাণ্ডবের ঘটনায় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ভাঙচুর-আগুনের একাধিক মামলায় আসামি করা হতে পারে।

গত ২৩ এপ্রিল হেফাজতের তাণ্ডব ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠান আব্দুর রহিম কাসেমী। তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সব মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের এসব দেশ ও ইসলামবিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করি।’

তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম ও জাতীয় এবং জেলা কমিটির পদ থেকে পদত্যাগ করছি। যাদের প্ররোচণায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীসমর্থকেরা। এ সব ঘটনায় ৫৬টি মামলা হয়েছে। এ মামলাগুলোতে এজাহারনামীয় ৪১৪ জন ও অজ্ঞাত ৩৫ হাজারেরও বেশি আসামি। এসব মামলায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৪১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/৪মে/কেএম)