রায়হান হত্যা: ৫ পুলিশসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

সিলেট ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ মে ২০২১, ১২:৫৬ | প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২১, ১২:৩৫

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ হত্যার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাত মাসের মাথায় বুধবার বেলা ১১টায় বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য এবং আকবরকে পালাতে সহযোগিতা করায় কোম্পানীগঞ্জের আব্দুল্লা আল নোমান নামে এক সাংবাদিকসহ মোট ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

নোমানের বিরুদ্ধে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক বদল করার অভিযোগ রয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় পিবিআই তদন্তকারী দল সিলেট কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাসের কাছে অভিযোগপত্রটি হস্তান্তর করে।

পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান বলেন, আদালতে অভিযোগপত্র জমা হয়েছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও এক যুবককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় পিবিআই সিলেট অফিসে প্রেসব্রিফিং করে মামলার পুরো তদন্ত কার্যক্রম ও আসামিদের ব্যাপারে জানানো হবে।

অভিযুক্তরা হলেন, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, টুআইসি এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেকে এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস এবং সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান। এদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে রয়েছেন।

আসামি এসআই মো. আকবর হোসেন ভূইঁয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, এএসআই আশেক এলাহীর বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইন, ২০১৩-এর ১৫ (২) (৩) ধারা, তৎসহ পেনাল কোডের ৩০২ ও ২০১ ধারার অপরাধ প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

গত বছরের ১১ অক্টোবর রাতে রায়হানকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে মারধরের এক পর্যায়ে রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়লে ১২ অক্টোবর ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রায়হানের শরীরে একাধিক লাঠির আঘাত পাওয়া যায়।

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন পর্যায়ে একজন ইন্সপেক্টরসহ ৯ জনকে বরখাস্ত করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/৫মে/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :