রিপোর্ট আটকাতে পারে যে সব আইন

প্রকাশ | ০৫ মে ২০২১, ১৪:৪২ | আপডেট: ০৫ মে ২০২১, ১৪:৪৮

আমিনুল ইসলাম মল্লিক

প্রকৃত সাংবাদিক বা লেখকরা অনেক সময়ই ভালো বন্ধু হতে পারেন না। একটি পক্ষকে সব সময়ই খুশি রাখা যায় না। এমনকি অনেক সময় লেখক-সাংবাদিকরা পথের কাটা হয়ে দাঁড়ান। অনেকেই শত্রু হযে দাঁড়ান, এটাই বাস্তবতা।  এসব সাংবাদিক বা লেখকের লেখা আটকাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের দেশে কিছু আইন আছে। শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম বিধি-নিষেধ রয়েছে। যে বিধি-নিষেধ বা আইন দ্বারা আমার আপনার, আমরা যারা লেখালেখি করি তাদেরকে আটকাতে পারে। তবে দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতা সার্বভৌম্ব রক্ষায় যা ইচ্ছে তা লেখা যায় না। লিখলেও সেটি দেশদ্রোহিতার শামিল। 

এজন্য এসব বিষয়গুলো সাংবাদিক বা লেখকদের সব সময়ই মাথায় রেখে কাজ করতে হয়। বিশেষ করে আমরা যারা আদালত পাড়ায় সাংবাদিকতা করি। আইন-আদালতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখাখেলি করি তাদের সবাইকে এ বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়, রাখা উচিত।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী ২০১৩), আদালত অবমাননা আইন-১৯২৬, সন্ত্রাস বিরোধি আইন-২০০৯, বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪, প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাক্ট (ডিক্লারেশন এন্ড রেজি: ১৯৭৩),  শিশু আইন-২০১৩, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইন-২০০০ (সংশোধনী ২০০৩), বাংলাদেশ দণ্ড-বিধি (পেনাল কোড), ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি), কপি রাইট আইন, প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট-১৯৭৪, অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-১৯২৩, পোষ্ট অফিস অ্যাক্ট, বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ (৪২ নং আইন), তথ্য অধিকার আইন-২০১৩ ইত্যাদি।

বাংলাদেশের সংবিধান, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২, ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯, জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ, সুরক্ষা প্রদান-১৯৬৯ সনের শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশ, ১৯৬৫ সালের শ্রমিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ) ইত্যাদি।

এছাড়ও কিছু অলিখিত বিষয় আছে যেগুলো মাথায় রেখে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা বা লেখালেখি করতে হয়।

লেখক: আইন সাংবাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম, ঢাকা