ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রীর প্রতারণার অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২১, ২১:৩২

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে এক সন্তানের মাকে বিয়ে করে আবার ডিভোর্সে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী ওই নারী কলারোয়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।

তবে এলাকাবাসী জানায়, প্রথম স্বামীর ঔরসে মেহেজাবিন সুলতানার সাড়ে বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

ভুক্তভোগী মেহেজাবিন সুলতানা(২৫) কলারোয়া উপজেলার বিক্রমপুর গ্রামের মৃত. রবিউল হোসেন বিশ্বাসের মেয়ে এবং উপজেলার চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম রেজা(৩০) সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর গ্রামের খবির উদ্দীন গাজীর ছেলে।

যদিও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আমার রাজনৈতিক অবস্থান নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।

মেহেজাবিন জানান, তার আগের সন্তানের কথা জেনেও মিথ্যা আশ্বাসে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রেজা। পরে আমাকে নিয়ে ঘর সংসার করার আশ্বাস দিলে ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর আমরা গোপনে বিয়ে করি। তবে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন রেজা। কিন্তু একদিনের জন্য মেহজাবিনকে তার বাড়িতে তুলেন রেজা। এরপর থেকেই স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন মেহেজাবিন।

তার অভিযোগ, ডিভোর্স দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন রেজা। এজন্য তাকে ও তার পরিবারকে নানা হুমকি দিতে দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে গত রবিবার (২ মে) মেহেজাবিন ডিভোর্স দিয়েছেন রেজাকে। এরপরও নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন রেজা।

মেহেজাবিন বলেন, নিরাপত্তার জন্য মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে কলারোয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। ডিভোর্স দেয়ার পরও আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমি এই ছাত্রলীগ নেতার বিচার দাবি করছি।

অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, আমি তাকে বিয়ে করেছি সংসার করার জন্য। কিন্তু তাকে বাড়িতে আনতে ব্যর্থ হয়েছি। সে বাড়িতে না এসে নানাভাবে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আগামী সম্মেলনে আমি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হওয়ায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে দিয়ে এসব করাচ্ছেন।

তিনি জানান, আর কারো স্ত্রী যদি মধ্যরাতে অন্যের মোটরসাইকেলে বাইরে ঘুরে বেড়ায় তবে তাকে শাসন করা মানে নির্যাতন করা নয়। অন্যের সঙ্গে ঘুরে বেড়ালে নিষেধ করলেও মানেনি। তখন হয়তো তাকে দুই একটি চড়-থাপ্পড় দিয়েছি। আমি তাকে নিয়েই সংসার করতে চাই। তবে সে চায় না। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসব করছে, বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিচ্ছে।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর বলেন, মেয়েটি তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। এরপরও তার স্বামী তাকে এসিড মারার হুমকি দিচ্ছে বলে মেয়েটি অভিযোগ করেছেন। এরপর ঘটনাটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে নথিভুক্ত করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৫মে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :