মির্জাপুরে স্ত্রীর চিকিৎসায় স্বামীর আকুতি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২১, ২২:৩১

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে গত এক মাস ধরে অসহ্য যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন মেবিন বেগম (৪৫)। এর মধ্যে দুই দফায় অপারেশন করা হয়েছে তার পায়ে। প্রতিদিন দুই বেলা ড্রেসিং করেও ইনফেকশন দমানো যাচ্ছে না। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে দরিদ্র পরিবারটি ধার-দেনায় জড়িয়ে গেছে। টাকার অভাবে এখন চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

মেবিন উপজেলার বহুরিয়া গ্রামের আবুল বাশার বাচ্চু মিয়ার মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামে।

মেবিনের স্বামী ফারুক হোসেন জানান, গত ৭ এপ্রিল ঘরের দরজার চৌকাঠে আটকে পায়ের হাড় ভেঙে যায় মেবিনের। স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্ত পা ফুলে ফুসকা উঠে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন কুমুদিনী হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। সেখানে একমাস ধরে চিকিৎসা চলছে। ইনফেকশন আটকাতে এরই মধ্যে শরীরে রক্ত ভরে দু’দফায় অপারেশন করা হয়েছে। প্রতিদিন তার চিকিৎসায় খরচ হচ্ছে ২/৩ হাজার টাকা। এই টাকা তার দরিদ্র স্বামী ফারুক হোসেনের পক্ষে যোগার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে ধারদেনা করে প্রায় লাখ টাকা খচর করে ফেলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার সরেজমিনে কুমুদিনী হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, তৃতীয় তলার এক্সটা ৩৬ নম্বর বিছানায় শুয়ে ব্যথায় ছটপট করছেন মেবিন বেগম।

কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দীপঙ্কর জানান, সর্বশেষ বুধবার তার পায়ে অপারেশন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এরপর ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ফারুক হোসেন তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। ফারুক হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ০১৭১০৭০৮৭১৫।

(ঢাকাটাইমস/৫মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :