রাবির বিতর্কিত নিয়োগ তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২১, ২১:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চার সদস্যের কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. জাকির হোসেন আখন্দ এবং ইউজিসির পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

তদন্ত কমিটি উল্লিখিত অবৈধ নিয়োগ ও অনিয়ম প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য অবৈধ নিয়োগ ও অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই তদন্ত কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করেছে। এতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ কার্যক্রমসহ আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ গতবছরের ১০ ডিসেম্বর প্রশাসনিক কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ করা হয়েছিল।

কিন্তু উপাচার্য বৃহস্পতিবার তার শেষ কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের উক্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন পদে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূতভাবে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে মন্ত্রণালয় অবহিত হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, যা অনভিপ্রেত।

এতে আরও বলা হয়, বিদায়ী উপাচার্যের অবৈধ জনবল নিয়োগের বৈধতা প্রাপ্তির সুযোগ নেই বিধায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলো।

অ্যাডহকভিত্তিতে শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশীকে মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে (৬ মে) নিয়োগ দিয়ে গেছেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। তবে ইস্যুকৃত নিয়োগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম স্বাক্ষর করেননি। এক সহকারী রেজিস্ট্রারকে রেজিস্ট্রার বানিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/৬মে/এমআর