ভালোবেসে বিয়ে: ১৬ দিনেই লাশ হলো স্কুলছাত্রী

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২১, ২২:৩৯

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন পছন্দের মানুষ কামরুল হসানকে। অনেক স্বপ্ন ছিলো স্বামীর বাড়ি গিয়ে সংসারী হবে স্বর্ণা। কে জানত বিয়ের ১৬ দিনের মাথায় লাশ হতে হবে স্কুলছাত্রী স্বর্ণাকে।

বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় স্বর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী উত্তর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে স্বর্ণার পরিবারের দাবি স্বর্ণা আত্মহত্যা করেনি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে চলছে এলাকায় নানা গুঞ্জন। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্বর্ণা আক্তার মীম (১৯) ধামতী উত্তর পাড়া মৃত মো. সামসুল হক মেয়ে। সে বছর ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণা ভালোবেসে গত ১৯ এপ্রিল কুমিল্লা কোর্টে বিয়ে করেন একই গ্রামের রহিম মাস্টারের ছেলে কামরুলকে। কিন্তু এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি কামরুলের বাবা আ. রহিম মাস্টার। এতে বিপত্তি বাঁধে কামরুল ও স্বর্ণার নতুন সংসারে। বিয়ের পর থেকেই স্বর্ণা দেবিদ্বারে তার বড় বোনের বাসায় থাকতেন। পরে গত শনিবার স্বর্ণা দেবিদ্বারের বোনের বাড়ি থেকে ধামতী বাবার বাড়িতে আসেন। শুক্রবার ভোরে সেহেরির সময়ে বড় বোন শিল্পী স্বর্ণার মোবাইল বন্ধ পেয়ে পাশের ঘরের চাচিকে ফোন করে স্বর্ণার খোঁজ নেন। পরে স্বর্ণার চাচা ও চাচি স্বর্ণাকে ডাকাডাকি করে ঘরে না পেয়ে ঘরের পেছনের দরজা খোলা দেখতে পান। বাইরে পুকুরপাড়ে একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্বর্ণার লাশ ঝুলে দেখতে পায়।

স্বামী মো. কামরুল হাসান বলেন, রাত ১২টায় আমি ফোনে কথা বলেছি, ভোর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে তার মৃত্যুর সংবাদে পেয়ে আমি ছুটে যাই, আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে কেউ হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে একটি গাছ থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় স্বর্ণার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৬মে/এলএ)