গলাকেটে বস্তায় ভরে রাখা হয় শিশুটির লাশ

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২১, ১১:০৮ | আপডেট: ০৭ মে ২০২১, ১২:০২

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নাটোরের গুরুদাসপুরে মহিবুল্লা নামে সাত বছর বয়সী একটি শিশুর গলাকাটা বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটি নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশু মহিবুল্লাহ সাবগাড়ী ভিটাপাড়া মহল্লায় তার নানা দেরাজ মোল্লার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ফোন হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় শিশুটি। সন্ধ্যা গড়িয়ে আসলেও বাড়িতে না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন স্বজনরা। শিশুটির সন্ধান পেতে মাইকিংও করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার অদূরে একটি ভুট্টার জমিতে প্রতিবেশীরা শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গীয় ফোর্সসহ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

শিশু মহিবুল্লা সিংড়া থানার চামারি ইউনিয়নের গুটিয়া মহিষমারী গ্রামের ইশা খানের ছেলে।

স্মার্টফোনের কারণেই শিশুটি খুন হতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেন ওই নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলা কঠিন। তবে ফোনের কারণেও হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারে শিশুটি।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিশুটি হত্যার ঘটনা তদন্ত চলছে।

ঢাকাটাইমস/৭মে/প্রতিনিধি/এমআর