সম্পর্ক উন্নয়নে সৌদি সফরে ইমরান খান

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২১, ১৫:৪৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তিন দিনের সৌদি আরব সফর শুরু করেছেন। শুক্রবার ইসলামাবাদ থেকে রিয়াদের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দীর্ঘ দিনের মিত্র সৌদির সঙ্গে উত্তেজনার পর সম্পর্কন্নোয়নের জন্য এই সফর করছেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে পাক প্রধামন্ত্রীর রিয়াদ সফর ব্যাপক তাৎপর্য বহন করছে। পাকিস্তান-সৌদি আরব ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ মিত্র। কিন্তু গেল কয়েক বছরে দুই দেশের দৃঢ় সম্পর্কে ফাটল ধরে।

গত বছরের আগস্ট মাসে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদিআরব যথার্থ ভূমিকা রাখতে পারেনি বলে সৌদি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। এরপর দুই দেশের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কোরেশি বলেছিলেন, ইসলামাবাদ আশা করে, কাশ্মীর নিয়ে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর জেদ্দাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ওআইসি শিগগিরই বিশেষ বৈঠক ডাকবে। সেটা যদি করা না হয়, তাহলে পাকিস্তান এই ইস্যুতে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোকে নিয়ে আলাদা করে সম্মেলন ডাকতে বাধ্য হবে। কোরেশির এই বক্তব্যকে সৌদি নেতৃত্বাধীন ওআইসির প্রতি ইসলামাবাদের প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে দেখা হয়।

কোরেশির এই বক্তব্যের জবাবে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সুদমুক্ত ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার বিষয়টি থেকে সরে আসে। একই সঙ্গে পাকিস্তানকে বাজারদরের চেয়ে কম দামে তেল সরবরাহ করার একটি চুক্তি নবায়ন স্থগিত করে।

ব্রোকিংস ইনস্টিটিউশনের ফরেন পলিসি প্রোগ্রামের ফেলো মাদিহা আফজাল বলেন, সাবেক ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ইমরান খানের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘ বছর ধরে সৌদি আরব ও পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূ-কৌশলগত অংশীদার হিসেবে রয়েছে। রিয়াদ এবং ইসলামাবাদের মধ্যে টেকসই সম্পর্ক প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এদিকে, গতকাল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সৌদি আরবের আমন্ত্রণে রিয়াদ পৌঁছেছেন; যেটা ইমরান খানের সফরের গুরুত্ব নির্দেশ করে।

ইমরান খানের সৌদি সফর সম্পর্কে অধিকাংশ পর্যবেক্ষক বলেছেন, এই সফরে অর্থনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে, পাকিস্তান প্রবাসীদের সৌদি আরবে কাজের সুযোগ বৃদ্ধি, পাকিস্তানে বিনিয়োগ। অন্যদিকে, সৌদি আরব পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির চেষ্টা করবে।

ইসলামাবাদের স্ট্রাটেজিক স্ট্রাডিজ ইনস্টিটিউটের ফেলো আরহামা সিদ্দিকা বলেন, সৌদি আরবের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের পর এই মুহূর্তে রিয়াদ কোনো মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইবে না ; সেই মিত্র তাৎপর্যপূর্ণভাবে হোক বড় কিংবা ছোট।

(ঢাকাটাইমস/০৭মে/কেআেই)