অর্থ সহায়তা আনতে গিয়ে আঙুল খোয়ালেন নারী

অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য দেয়া প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা ৪৫০ টাকা আনতে গিয়ে হাতের আঙুল খোয়ালেন রিনা বেগম (৩৫) নামে এক অসহায় নারী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। রিনা বেগম একই ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

রাতেই রিনা বেগমকে আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শহরের কুমারশীলমোড় আলিফ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

রিনার ছোট ভাবি মরজিনা জানান, গত ছয় থেকে সাত মাস আগে রিনার সঙ্গে তার স্বামী ফজল মিয়ার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে রিনা তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। রিনার বাবা মারা যাওয়ার পর তার ভাই জসিম মিয়া সংসারের হাল ধরেন। রিনা ও ভাগ্নীর ভরণপোষণও তার ভাই জসিম দিতেন। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তার টাকা আনতে যায় রিনা। টাকার জন্য লাইনে দাঁড়ালে রিনাকে পেছন থেকে কয়েকজন ধাক্কা দেয়। এসময় তার ডান হাত ইউনিয়ন পরিষদের দরজার ফাঁকে আটকে যায়। তখন রিনা জোর করে ভেতরে ঢুকে পড়ছেন ভেবে দরজা বন্ধ করে দেন চৌকিদার। এতে রিনার হাতের একটি আঙুল পুরোপুরি কেটে নিচে পড়ে যায় এবং আরেকটি আংশিক কাঁটা পড়ে।

আহত রিনা বলেন, ‘আমি চৌকিদারকে অনেক মিনতি করে বলেছি, ভাই আমার হাত আটকে গেছে, দরজাটা খোলেন। কিন্তু তিনি আমার কোনো কথা শোনেননি।’

এ বিষয়ে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারওয়ার রহমান বলেন, ‘টাকা বিতরণের সময় আমি ছিলাম না। শুনেছি কার আগে কে টাকা নেবে, সেটা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তখন চৌকিদার দরজা লাগাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। দরজায় যে ওই নারীর হাত আটকে ছিল, সেটি চৌকিদার দেখেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। তাই, ওই নারীর যাবতীয় চিকিৎসার খরচ ইউনিয়ন পরিষদ বহন করবে।’

অন্যদিকে, শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বিজয়নগর ইউএনওকে আহত নারীর চিকিৎসাসহ তাকে সার্বিক সহায়তা করার জন্য এবং নারী আহত হওয়ার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/৭মে/পিএল)