নগরে গুলমোহরের লালের ছটা

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২১, ১৬:৫৯ | আপডেট: ০৭ মে ২০২১, ১৭:১১

শেখ সাইফ, ঢাকাটাইমস

গ্রীষ্মের কড়া রোদ আর গরমে জনজীবন যখন ওষ্ঠাগত, ঠিক তখনই প্রকৃতি সেজেছে গুলমোহরের লালের ছটায়। এ লাল যেন হারিয়ে দিচ্ছে মেঘমুক্ত আকাশের ঝাঁজালো সূর্যালোককেও। করোনা মহামারির মধ্যে তাতানো রোদে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতেই যেন প্রকৃতির এ অনন্য সাজ। ঋতুরাজ বসন্তের শেষে গ্রীষ্মের শুরুতেই দাউ দাউ আগুনের ফুলকিতে ছেয়ে গেছে রাজধানী। তবে এ আগুন সত্যিকারে আগুন নয়, এটি হলো গ্রীষ্মের কৃষ্ণচুড়া ফুলের রুপের আগুন।

এই গ্রীষ্মের কড়া রোদে কৃষ্ণচূড়ার দিকে তাকালেই মনে হয়, প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়ার রঙয়ে আগুন জ্বলছে। যে দি‌কে চোখ যায় যেন সবুজের মাঝে লালের মূর্ছনা, প্রকৃতির এই অপরূপ সাজ দেখে দু’চোখ জুড়িয়ে যায়। পাশাপাশি সোনালু ফুলের ঝলমলে রূপ দেখে মনে হয় কোনো রূপসী কন্যা এইমাত্র হলুদের পিঁড়িতে বসল। পুরো গাছ থেকে হলুদ যেন বয়ে বয়ে পড়ছে।

নগরির আনাচে কানাচে যেখা‌নে কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে সেখানেই লাল রঙয়ের ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য যেন হার মানায় ঋতুরাজকেও। কৃষ্ণচুড়ার পাশাপাশি সোনালু, মল্লিকা, দোলনচাপা, কাগজীফুলসহ চেনা অচেনা নানান ফুলের সমারোহ এখন নগরীর বুক জুড়ে। সব ফুলই একাত্ব হয়ে প্রকৃতির বুকে শোভা বিলিয়ে দিচ্ছে।  

নগরীর চন্দ্রিমা উদ্যান ও সংসদ ভবন এলাকার আশপাশে কৃষ্ণচূড়া তার লাল আবীর নিয়ে পাকা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের ভালোবাসা নিয়ে কৃষ্ণচূড়া তার সমস্ত রঙ প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই কৃষ্ণচূড়া গাছটির দিকে তাকালেই তার মুগ্ধতায় যে কারোরই দৃষ্টি কেড়ে নেয়।

এদিকে মনমাতানো বৈশাখি হাওয়ায় কিশোরীর কানের দুলের মতো দুলতে থাকা সোনালু ফুলের থোকাগুলো যেন নাড়িয়ে যায় সবার মন। এসময় কিশোর কিশোরীরাও বিভিন্ন ফুলের মালা বানিয়ে পথচারিদের কাছে বিক্রি করে। কোথাও দেখা যায় মা-বাবা ও ছেলেমেয়েরা মিলে রাস্তার পাশে ফুলের মালা তৈরির পসরা সাজিয়ে বসেছে।

পাখির কুজন ও গাছে গাছে হরেক ফুল-ফলে শোভিত নাগরিক জীবন করোনা মহামারিতে কিছুটা হলেও আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে। এমনি ফুল-ফলের সতেজতায় সহজ হয়ে উঠুক নাগরিক জীবন।

(ঢাকাটাইমস/৭মে/এসকেএস/ইএস)