ঈদের পর করোনার আরেকটি ঢেউয়ের শঙ্কা

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২১, ২১:৫৫ | আপডেট: ০৭ মে ২০২১, ২১:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
শুক্রবার ফেরিতে ঘরমুখি মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ছবি: ঢাকাটাইমস

দেশে করোনা মহামারির সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতির পর অনেকটাই কমে এসেছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে যেভাবে অবাধ চলাচল এবং শপিংমলে  ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে ঈদের সপ্তাহদুয়েক পর করোনাভাইরাসের আরেকটি ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি সবাই আন্তরিক না হলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা।

জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভাইরোলজিস্ট) অধ্যাপক নজরুল ইসলাম শুক্রবার ঢাকা টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে জানান, সংশ্লিষ্টরা আরও সতর্ক থাকলে কোভিড পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তা না হলে ঈদের ১৫ দিন পর করোনার আরেকটি ঢেউয়ের মুখোমুখি হতে হবে দেশকে।

ঈদের শপিং করতে মার্কেটে মার্কেটে লোকজনের উপচেপড়া ভিড়। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলো বোঝানো যাবে না। সরকার তো জানে এই হবে। এখন মাস্ক পরায় বেশি জোর দিতে হবে। ঈদের ১৫ দিন পরে নতুন করে করোনার একটা ঢেউ উঠবে।’

মার্কেটগুলোতে যে পরিমাণ পুলিশ দেয়া হয়েছে এবং পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে মনে করেন তিনি। মার্কেটগুলোতে আরও বেশি পুলিশ দিয়ে, মার্কেট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে মানুষকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা, যতটুকু সম্ভব সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ।

জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘মার্কেটগুলোতে আমাদের অনেক পুলিশ এবং অ্যাসোসিয়েশনের ভলন্টিয়ার দেয়া উচিত ছিল। মার্কেট খুলে দেয়ার সময় তো এগুলো আলোচনা হয়েছে। আমাদের এখানে একটা ঢিলেঢালা ভাব চলছে।’

সরকারের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব তৈরি হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন জাতীয় পরামর্শক কমিটির এ সদস্য। তিনি বলেন, ‘খালি নির্দেশনা জারি করে হবে না। এতে মনে হয়- মানুষের সঙ্গে সরকারে একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যাচ্ছে। মানুষের সঙ্গে মিশে সরকারের সবকিছু চালানো উচিত। এটা না করে শুধু মানুষের প্রতি হুকুম জারি হয়ে যাচ্ছে।’

দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলের পক্ষে এই ভাইরোলজিস্ট। তিনি বলেন, ‘এই মানুষগুলা যে যাচ্ছে এরা তো কষ্ট করেই যাচ্ছে। বাচ্চারা হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে, মহিলারা হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে। এতে তো তাদের কষ্ট এবং খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। এই যে মানুষ কষ্ট করে বেশি খরচ করে যাচ্ছে, আবার বেশি খরচ করে আসবে। এতে তো মানুষের মনে সরকারের প্রতি একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ সরকার যদি বাসগুলো ছেড়ে দিত এবং সঙ্গে যদি স্বাস্থ্যবিধি পালন করে গাড়ি চালানোর নিয়ম করে দিত,  স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কড়া পদক্ষেপ নিত, তাহলে ভালো হতো।’

(ঢাকাটাইমস/০৭মে/কারই/জেবি)