সোহরাওয়ার্দীর গাছকাটা বন্ধে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া রবিবার

প্রকাশ | ০৮ মে ২০২১, ১৭:১৮ | আপডেট: ০৮ মে ২০২১, ১৭:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছকাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশের জবাব এখনো পাওয়া যায়নি। রবিবার এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পক্রিয়া নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।  

শনিবার পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মনজিল মোরসেদ বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে জানান। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতবার এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। আজকে শনিবার ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে যাচ্ছে। এখনো নোটিশের জবাব পাইনি। রবিবার এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেব। হাইকোর্টে আবেদন করব।  

গত বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও চিফ আর্কিটেক্ট অব বাংলাদেশের প্রতি।

ওই নোটিশে বলা হয়েছিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০০৯ সালে করা রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট উদ্যানে সংরক্ষণে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সে রায়ে বলা হয়েছিল, রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা নিছক একটি এলাকা নয়। এই এলাকাটি ঢাকা শহর গোড়াপত্তনের সময় থেকেই এ পর্যন্ত একটি বিশেষ এলাকা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে এবং এর একটি ঐতিহাসিক ও পরিবেশগত ঐতিহ্য আছে।

শুধু তাই নয়, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্র এই এলাকা। এ প্রেক্ষিতেও সম্পূর্ণ এলাকাটি একটি বিশেষ এলাকা হিসাবে সংরক্ষণের দাবি রাখে।

নোটিশে আরও বলা হয়, এখানে এমন কোনো স্থাপনা থাকা উচিত নয় যা এই এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বিন্দুমাত্র ম্লান করতে পারে। পরিবেশগত দিক হতে তা আরও বিধেয় নয়। কারণ রমনার উদ্যান বা রমনা রেসকোর্স ময়দান ঢাকা শহরের দেহে ফুসফুসের ন্যায় অবস্থান করছে। কোনভাবেই এটাকে রোগাক্রান্ত করা যায় না।

আদালতের রায় উপেক্ষা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে ব্যবসায়িক স্বার্থে রেস্টুরেন্ট/দোকান প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবেশ ধ্বংস করে অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যা রায়ের সম্পূর্ণ পরিপন্থি বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের যথাযথ জবাব না পেলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৮মে/এআইএম/ইএস)