‘পরকীয়ায় প্রাণ গেল আলমগীরের’

প্রকাশ | ০৮ মে ২০২১, ২১:৫৩

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সাতক্ষীরার আলোচিত আলমগীর হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়ার কারণেই হত্যা করা হয় আলমগীর হোসেনকে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানায় অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন।
এসময় সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজিব খান, সদর সার্কেল শামসুজ্জামান সামস, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুরহান উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের তথ্যেরভিত্তিতে ৭ মে ২০২১ ভোরে পুলিশ শহরের বচকরা পশ্চিমপাড়ার একটি পুকুর থেকে একই এলাকার নজরুল ইসলামের পুত্র আলমগীর হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকির এবং ইস্রাফিল নামের দুইজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনার সাথে জকিরের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আটক ইস্রাফিল অকপটে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশে কাছে।
পুলিশ জানায়, নিহত আলমগীর ও ইস্রাফিল দুইজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। একই এলাকার আব্দুল জলিলের স্ত্রীর সাথে আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জলিলের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আলমগীর  ইস্রাফিলের সাথে পরামর্শ করে গত ৫ মে ২০২১ বিকালে তাকে (জলিলের স্ত্রীকে) ইস্রাফিলের এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে আসে। পরের দিনে তাদের ঢাকা বা অন্য কোথায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলমগীরের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় যেতে পারেনি। হত্যার পূর্ব মুহূর্তে ঘটনাস্থলে বসে আলমগীর ও ইস্রাফিলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আলমগীর ইস্রাফিলকে বলে জলিলের স্ত্রীকে “আমি নিতে পারছি না, তুই নিবি।” এতে উত্তেজিত হয়ে ইস্রাফিলের হাতে থাকা বিদ্যুতের তার দিয়ে আলমগীরের গলায় পেচিয়ে হত্যা করে।
ইস্রাফিলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহত আলমগীরের ব্যবহৃত টর্চলাইট উদ্ধার হয় এবং মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে নিহতের মা সুফিয়া খাতুন ওরফে হাজেরা বাদী হয়ে আহসান, বিল্লাল, জলিল ও ইস্রাফিলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে। বাকি আসামিদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে। তবে হত্যার সাথে জলিলের স্ত্রীসহ আর কেউ জড়িত আছে কিনা পরবর্তী তদন্তে জানা যাবে। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ওহিদুল ইসলামকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
(ঢাকাটাইমস/৮মে/এলএ)