রাবিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা ছাত্রলীগ-আ.লীগ পরিবারের: বিদায়ী ভিসি

রাজশাহী ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ মে ২০২১, ২১:৫৮ | প্রকাশিত : ০৮ মে ২০২১, ২১:৫৪

শেষ কর্মদিবসে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা সবাই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ পরিবারের বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান।

ওই নিয়োগের তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে শনিবার সাক্ষাৎকার শেষে ক্যম্পাস ত্যাগের সময় এ কথা বলেন তিনি।

রাবির বিদায়ী উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার (৬ মে)। আগের দিন তিনি অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৩৭ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে যান। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগকে অবৈধও বলেছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ১৩৭ জনের যোগদান স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন (রাবি)।

এদিকে শনিবার পৌনে ১১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা রাবিতে যান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, সদস্য সচিব ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ।

শনিবার পৌনে ১১টার দিকে কমিটির সদস্যরা রাবিতে যান। প্রথমে তারা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বে) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার দপ্তরে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তদন্ত কমিটির ডাকে উপাচার্যের দপ্তরে যান সদ্য বিদায়ী উপাচার্য আবদুস সোবহান। তদন্ত কমিটি তার সাক্ষাৎকার নেন।

পরে বিকাল চারটার দিকে তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, এই নিয়োগ আইনের পরিপন্থী নয়। কারণ, উপাচার্যকে ৭৩ এর অধ্যাদেশে এ ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমি মানবিক কারণে তাঁদের চাকরি দিয়েছি। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের এবং আওয়ামী পরিবারের।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে এই নিয়োগ অবৈধ এবং নিয়মবহির্ভুত। সুতরাং যারা এই নিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত আমরা তাদের সাক্ষাৎকারের আওতায় এনেছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা একটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’ (ঢাকাটাইমস/০৮মে/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :