চাচির পরকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় ভাতিজা খুন

প্রকাশ | ০৮ মে ২০২১, ২২:৫০

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাচির পরকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় খুন হতে হয়েছে ভাতিজা প্রকাশ কুমারকে। ঘটনার ছয় দিনের মাথায় এই ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। রাজশাহী তানোর উপজেলার এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামে এই খুনের ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন নিহতের চাচা উপজেলার এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের বাসিন্দা বিমল সিং (৫০),  তার স্ত্রী অঞ্জলী রাণী (৩৫), এই দম্পতি বড় ছেলে সুবোধ সিং (১৮) এবং অঞ্জলী রাণীর পরকীয়া প্রেমিক নওগাঁ জেলার নিয়মতপুর উপজেলার সাদাপুর খরিবাড়ী এলাকার বাদল (৪৫)।
পুলিশি জেরার মুখে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তারা। এ নিয়ে রাজশাহীর আদালতে পৃথক-পৃথকভাবে জবানবন্দিও দেন এই চার আসামি।
গত ২৮ এপ্রিল রাতে প্রকাশ কুমার উপজেলার কলমা ইউনিয়নের এনায়েতপুর চোরখৈর গ্রামের নির্জন রাস্তায় খুন হন প্রকাশ। পরদিন সকালে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত প্রকাশ ওই গ্রামের নির্মল সিং-এর ছেলে। রাজশাহী মহানগরীর মিষ্টি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নবরূপের কর্মী ছিলেন তিনি। লকডাউনে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিনি। এ নিয়ে ২৯ এপ্রিল সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা।
তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, মামলার প্রধান আসামিসহ খুনের সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, বিমল সিং-এর স্ত্রীর সঙ্গে তিন বছর ধরে পরকীয়া চলছিল পাশের নিয়মতপুর উপজেলার সাদাপুর খরিবাড়ী এলাকার রাজমিস্ত্রী বাদলের। তবে লকডাউনের কারণে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন বিমল সিং-এর ভাতিজা প্রকাশ কুমার। তিনি চাচির পরকীয়ার বিষয়টি জেনে যান। জানাজানির শঙ্কায় চাচি অঞ্জলী ও তার পরকীয়া প্রেমিক বাদল প্রকাশকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। অঞ্জলী ভুল বুঝিয়ে এই পরিকল্পনায় যুক্ত করেন স্বামী ও বড় ছেলেকে।
গত ২৮ এপ্রিল রাতে স্ত্রীর কথামত শিক্ষা দিতে বিমল ভাতিজা প্রকাশকে এনায়েতপুর চোরখৈর ফসলি মাঠের নির্জন রাস্তার ধারে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় তার ছেলে সুবোধ সাথেই ছিলেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন বাদল ও অঞ্জলী। সেখানে পৌঁছামাত্রই বাদল রাম দা দিয়ে প্রকাশের মাথায় কোপ দেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন প্রকাশ। সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
পুলিশ বলছে, ঘটনার পর যে যার মতো বাড়ি ফেরেন। ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড হিসেবে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মামলার পর ১ মে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন প্রধান আসামি বাদল। তাকে সাত দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যা রহস্য।
(ঢাকাটাইমস/৮মে/এলএ)