করোনার ভারতীয় ধরন আরও দুজনের শরীরে

প্রকাশ | ০৯ মে ২০২১, ১৮:২২ | আপডেট: ০৯ মে ২০২১, ১৯:২২

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভারতে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন দুই হাজার ৫৬০ জন বাংলাদেশি যাত্রী। তাদের মধ্যে ১৮ জনের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাদের দুজনের শরীরে নতুন করে  ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তরা ভারতে গিয়ে করোনা সংক্রমণের শিকার হন। তাদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে রাখা হয়েছে।

এদিকে নতুন করে দুই দেশের সীমান্ত পথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে আরও ১৪ দিন। রবিবার যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউছুফ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইনটিনে থাকা দুজনের দেহে ভারতীয় কোরোনা ভেরিয়েন্ট পাওয়া যাওয়ায় নুতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চিকিৎসা শেষে ভারতফেরত অসহায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে ও অর্থ খরচ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসন।

জটিল রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাসহ যানবাহন ও হোটেল খরচ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হোটেল ভাড়া অর্ধেক নেয়ার আহবান জানানো হয়েছে হোটেল মালিকদের। ইমিগ্রেশনে বহিরাগতদের প্রবেশ রোধেও জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। সকালে বেনাপোল বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও ইমিগ্রেশন ভবনে সাঁটানো যাত্রী সুবিধার এমন নোটিশ দেখা গেছে।

শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলীফ রেজা জানান, ভারতফেরত যাত্রীরা যাতে কোনোভাবে দালাল শ্রেণির মানুষের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয় এ জন্য ইমিগ্রেশন ও বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন সতর্কবার্তা দিয়ে ব্যানার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত যাত্রীদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র পরীক্ষা করে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার বিচিত্র মল্লিক জানান, রবিবার ভারত থেকে ১ জন করোনা পজেটিভসহ ৮৫ জন ফিরেছেন। গত শুক্রবারও পাঁচজনের করোনা পজিটিভ ছিল। এরা ভারতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্ত যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে ও সাধারণ যাত্রীদের যশোর, খুলনা, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের ১৪ দিন হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারতের করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট রোধে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের ভ্রমণে সীমান্ত পথে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো পাসপোর্টধারী যাত্রী দুদেশের মধ্যে যাতায়াত করেনি।  নিষেধাজ্ঞার আগে যারা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আটকা পড়েছিল তারা ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরছেন।

(ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/ডিএম)