অনুমতির সুমতি হোক বসুমতীতে

প্রকাশ | ১০ মে ২০২১, ১৭:২২ | আপডেট: ১০ মে ২০২১, ১৮:২৭

ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম

দণ্ড স্থগিত করে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো নজিরবিহীন ঘটনা নয়। থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, পাকিস্তানসহ অনেক দেশে চিকিৎসার জন্য অনেক সাবেক রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের বেলায় এমনটি ঘটেছে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ৭ বছরের জেল হওয়া দুর্নীতি মামলায় ১২ মাস সাজা খাটার পর লাহোর হাইকোর্ট তাকে জামিন ও সাজা স্থগিত করে বিদেশ ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে।

ইমরান খানের সরকারের এতে ঘোর আপত্তি ছিল। রাষ্ট্র ৩৪ লাখ ডলার ইন্ডেম্নিটি বন্ড চেয়েছিলো নওয়াজ শরীফের কাছ থেকে। কিন্ত লাহোর হাইকোর্ট সেটাও হতে দেয়নি। পরবর্তীতে অন্য একটি দুর্নীতির মামলায় নওয়াজ শরীফের ১০ বছরের জেল হয়। যে মামলায় ২ মাস পর নওয়াজ শরীফ সাজা স্থগিত হওয়ার কারণে মুক্ত হন।

নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধের মামলাগুলো রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ঘুষ, দুর্নীতি ও কেলেংকারীর মতো ঘটনা। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার যে দুটো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে সেগুলো প্রাতিষ্ঠানিক বা রাষ্ট্রীয় কোনো কেলেংকারির মতো বিষয় নয়।

ট্রাষ্টের টাকা বিদ্যমান এবং সূদ আসলে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাজার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, এ কথা দেশের কোনো নাগরিক বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন বলে আমি অন্তত মনে করি না। যাইহোক প্রসঙ্গটা তুললাম এজন্য যে, প্যারোল কাকে দিব, কেন দিব, সাজা-দণ্ড কখন স্থগিত করব, এটা অবস্থা বিবেচনায় সম্পূর্ণ রাষ্ট্র বা আদালতের বিষয়।

দণ্ড স্থগিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাবার অনুমতি দিতে কোনো বাধাই বাধা নয়। আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, সহানুভূতিই মূখ্য। রাজনৈতিক শঠতাটাকে না হয় ছুঁড়ে ফেলুন এ যাত্রায়।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকাটাইমস/১০মে/এসকেএস