বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সড়কে যানবাহনের চাপ
প্রিয়জনদের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গার কর্মরত মানুষ উত্তরাঞ্চলে ফিরছে। এতে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কর্মজীবী নারী-পুরুষের ভিড় দেখা গেছে। বিভিন্ন উপায়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন মানুষ।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ও পণ্যবাহী যানবাহনেও যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এসব মানুষ। দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাকে করে বাড়ি ফিরতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের আতঙ্ক উপেক্ষা করে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ট্রাকে গাদাগাদি করে ভোগান্তি সহ্য করে বাড়ি ফিরছে শ্রমজীবী মানুষরা। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কড্ডার মোড়, নলকা ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। পায়ে হেঁটেও অনেক যাত্রীকে আসতে দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে ঈদ করতে বাড়ি আসা যাত্রী আব্দুর রহিমের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার জন্য খুব কষ্ট করে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসছি। দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বেশি ভাড়া দিয়ে ভোগান্তি সহ্য করে ট্রাকে করে বাড়ি আসতে হচ্ছে।
আরেক যাত্রী সীমা খাতুন বলেন, বাড়িতে স্বামী সন্তানদের সঙ্গে ঈদ করবো বলে প্রাইভেট কারে তিনগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়ি আসতে হচ্ছে। যা বেতন পাই ঈদে বাড়ি আসতে যেতে সে টাকা শেষ হয়ে যাবে। তবুও সবার সঙ্গে ঈদে আনন্দ করতে বাড়ি যাচ্ছি।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী বলেন, ‘ঢাকা থেকে মানুষ উত্তরাঞ্চলের দিকে ফিরছে। তাই মহাসড়কে মানুষের ভিড় আছে। ছোট ছোট যানবাহনে করে মানুষ আসছে। তাদের আটকে দেয়া হচ্ছে। সড়কে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। বড় যানবাহন এলে তাদের আটকে দেয়া হচ্ছে। মহাসড়কে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করছে। সরকারি নির্দেশনা মেনেই যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১১মে/কেএম)