সিরাজগঞ্জ টু ঢাকা, গোল্ডেন মনির টু রিয়াজ উদ্দিন!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ মে ২০২১, ১৯:০৭

গোল্ডেন মনিরের সঙ্গে যোগসাজশ করে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। দীর্ঘদিন তদন্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি এই তথ্য পেয়েছে। তদন্তের সূত্র ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ও তার ভাই মোহাম্মদ হায়দার আলীকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর বাড্ডা থানায় সিআইডি মামলাটি করে। মামলায় গোল্ডেন মনির, তার স্ত্রী, ছেলেসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ৪/২ ও ৪/৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

সিআইডি বলছে, গোল্ডেন মনিরের অপরাধ কাজের সহযোগী, ব্যবসায়িক ও অপরাধলব্ধ আয়ের পার্টনার ছিলেন রিয়াজ। আর এসব সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব ছিল রিয়াজের আপন ভাই হায়দার আলীর। ভাইয়ের সঙ্গে থেকে তিনিও (হায়দার) বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

আর মনিরের সব সম্পদই অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত বলে জানাচ্ছে তদন্ত সংস্থা। তারা বলছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ১৯৯৬ সালে সোনালী ব্যাংকের এয়ারপোর্ট শাখায় পিয়ন পদে চাকরি করার সময় গোল্ডেন মনিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এসময় তিনি সোনা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন। পরে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। অপরাধের টাকায় রিয়াজ এবং গোল্ডেন মনির একসঙ্গে সম্পত্তি করেছেন। যেমন, উত্তরার জমজম টাওয়ার, আল সাফা টাওয়ারসহ অনেক সম্পত্তি রয়েছে। তবে, কী পরিমাণ টাকা তারা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেছেন তা অধিকতর তদন্তে জানা যাবে।

এদিকে, রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আগেও সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যবসা নয়, কার্যত সোনা চোরাচালান ও জমির ব্যবসা থেকে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হন।

গত বছরের ২০ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় মনিরের ছয়তলা বাসায় অভিযান চালিয়ে মনিরকে মাদক ও অস্ত্রসহ আটক করে র‌্যাব। বাড়ি থেকে নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা, চার লিটার মদ, আট কেজি সোনা (৬০০ ভরি), একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। এছাড়া মতিঝিল ও রমনা থানায় মাদকদ্রব্য ও দুদক আইনে আরও চারটি মামলা রয়েছে। মনির গ্রেপ্তারের পর তার সঙ্গে কারা কারা জড়িত তাদের নাম বেরিয়ে আসতে শুরু করে।

সিআইডির মামলার এজাহারে যাদের নাম

মামলার এজাহারে গোল্ডেন মনির, তার স্ত্রী রওশন আক্তার, ছেলে রাফি হোসেন, মনিরের বোন নাসিমা আক্তার, ভগ্নিপতি মোহাম্মদ হাসান উদ্দিন খান, আরেক ভগ্নিপতি নাহিদ হাসান খান, মনিরের অটোকার সিলেকশনের জিএম আব্দুল হামিদ খান, তার অপরাধ কাজের সহযোগি ও ব্যবসায়ী পার্টনার মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মোহাম্মদ শফিকুল শফিক ও মোহাম্মদ হায়দার আলীর নাম রয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনকে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তার অফিসের টেলিফোন রিসিভ করলেও কেউ কথা বলেননি।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/এসএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন ও জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা

অনলাইন নিউজপোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা বাস্তবায়ন হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বুধবার

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির

দাবদাহের মধ্যে বৈশাখের প্রথম ঝড়ে সিক্ত রাজধানী

বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সহায়তায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস

ভোজ্যতেলে পূর্বের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সমৃদ্ধিতে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

সারাদেশে তাপপ্রবাহ, গরমের দাপট কমবে কবে? কী বলছে আবহাওয়া দপ্তর?

রহস্যে ঘেরা মুক্তিপণকাণ্ড!

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :