শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বরাদ্দ

প্রকাশ | ১১ মে ২০২১, ২১:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যেসব শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু কথা বলতে পারে না ও কানে শোনে না, তাদের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। ব্যয়বহুল এই ডিভাইস বিনামূল্যে শিশুদের জন্য ঈদের আগে উপহার হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার বিএসএমএমইউর ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট এবং স্পিচ থেরাপির পর যখন কোনো শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু মা-বাবা বলে ডাকে সেই আনন্দের অনুভূতি ওই মা-বাবার কাছে যে কতটা বিশাল তা বলে বোঝানো যাবে না। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। শুধুমাত্র প্রতিটি কক্লিয়ার ডিভাইসের মূল্যই ১০ লাখ টাকার বেশি। ফলে অভিভাবকদের পক্ষে এই বিশাল ব্যয়ভার বহন করে তার প্রিয় সন্তানের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ব্যয়বহুল ডিভাইস শিশুদেরকে দেয়া হয়ে থাকে। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের আগে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য এই কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বরাদ্দ হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদের বিশেষ উপহার।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্য রোবটিক সার্জারি চালু, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সেন্টার স্থাপন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে শহীদ ডা. মিল্টন হলে মোট তিনজন শিশুকে এই ডিভাইসের বরাদ্দ দেয়া হয়। বাকি শিশুদের বরাদ্দপত্র তাদের অভিভাবকদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়। মোট ৬৮ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর মাঝে এই বরাদ্দপত্র দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অটোল্যারিংগোলজি-হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগের শিক্ষক ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক আবুল হাসনাত জোয়ারদার।

তিনি জানান, বিএসএমএমইউয়ে রয়েছে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের জন্য একটি সুদক্ষ চিকিৎসক দল। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এ পর্যন্ত ৫১৫ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন করেছে। এসব শিশু এখন কানে শুনতে পারছে এবং কথা বলতে পারছে।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপউপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. জাহিদ হোসেন, উপউপাচার্য (শিক্ষা) এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, অটোল্যারিংগোলজি-হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, ডা. কামরুল হাসান তরফদার, ডা. এ এইচ এম জহুরুল হক, ডা. নাসিমা আখতার, ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক কানু লাল সাহা, সহযোগী অধ্যাপক ডা. অসীম কুমার বিশ্বাস, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. হারুন অর রশিদ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/কেএম)