স্বামীকে অজ্ঞান করে স্ত্রীকে হত্যা, ভাড়াটিয়া দম্পতি গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১২ মে ২০২১, ১৪:৩২ | আপডেট: ১২ মে ২০২১, ১৬:৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাউচর এলাকায় বৃদ্ধা হোসেনে আরা বেগমের হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তারা হলেন হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী সুলতানা খাতুন।

বুধবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইমাম হোসেন।

তিনি বলেন, গত ৮ মে রাতে কাউচর এলাকায় বাড়ির মালিক আজিম উদ্দিনকে চা-বিস্কুটের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। তাকে অজ্ঞান করার পর আজিমের স্ত্রী হোসেনে আরা বেগমের মুখে গামছা ভরে কসটেপ পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের ঘর থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

ইমাম হোসেন আরও বলেন, গ্রেপ্তার হারুন অর রশীদ আটরশির একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। সেখানে পড়ালেখা শেষে মানুষদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতেন। করোনার কারণে বেকার হয়ে একটি সোনারগাঁও এলাকার কাউচর গ্রামে কারাখানায় কাজ নেন এবং হোসেনে আরা বেগমের বাড়িতে ভাড়া নেন। সেখানে তার সঙ্গে সুমন ও শিপন নামে দুজনের পরিচয় হয়।

এর আগে আরও একবার চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আজিম উদ্দিনকে অজ্ঞান করা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হারুন অর রশীদের স্ত্রী সুলতানা খাতুন বিদেশে ছিলেন। কিছুদিন আগে দেশে এসেছেন। এরপর স্বামী-স্ত্রী পরিকল্পনা করে হোসনে আরা বেগমের স্বামীকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চা বিস্কুট খেতে দেয়। তবে সেদিন অসুস্থ হয়ে পড়লেও তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। দ্বিতীয় পরিকল্পনায় আজিম উদ্দিনকে চা-বিস্কুটের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে হোসেনে আরাকে হত্যা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তাধর বলেন, ঘটনাটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অপরাধ সংঘটনের পর সিআইডি ছায়া তদন্ত করে। ঘটনার সাথে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আসামির সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবশেষে সিআইডির চৌকসদল চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার মূলহোতা হারুন অর রশীদ এবং তার স্ত্রী সুলতানা খাতুনের অবস্থান শনাক্ত করে গাজীপুরের জিরানি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে মুক্তাধর আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পুলিশ সুপার জিসানুল হক এবং সহকারী পুলিশ মো. শাহজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/১২মে/এএ/এমআর