ব্যান্ডস্টিয়ারিং, ওয়াইফাই ইন্টারনেটে নতুন প্রযুক্তি

প্রকাশ | ১২ মে ২০২১, ১৬:১০

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

করোনা সৃষ্ট মহামারিতে অনেকেই ঘরে বসে অফিস করছেন। তাই হোম অফিসের জন্য প্রয়োজন দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ।  অফিসের কাজ হোক কিংবা বাড়ি বসে অনলাইন ক্লাস দুটি ক্ষেত্রে এখন গুরত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রডব্যান্ড। 

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন একটা কমন বিষয় হয়ে গেছে। ওয়্যারলেস রাউটার পছন্দ করার সময় কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেট সংযোগ ভালো করতে একটি নতুন প্রযুক্তি চালু হয়েছে যা ব্যান্ড স্টিয়ারিং। বর্তমান সময়ে প্রতিটা আধুনিক রাওটারের সঙ্গে ব্যান্ড স্টিয়ারিং প্রযুক্তির মেলে। এই প্রতিবেদনে প্রযুক্তির বিবরণ এবং কীভাবে ওয়াইফাই সংযোগে ব্যবহার করা হবে তা উল্লেখ করা হল।

ব্যান্ড স্টিয়ারিং এমন একটি কৌশল যা ২.৪ গিগাহার্জ পুরানো নেটওয়ার্কের সমর্থনের সঙ্গে ৫ গিগাহার্জ আল্ট্রা ফাস্ট নেটওয়ার্ক সমর্থন করে নতুন ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযুক্ত করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ব্যান্ড স্টিয়ারিং কেবলমাত্র রাউটারগুলোতে ব্যবহার সম্ভব যা ডুয়াল-ব্যান্ড ওয়াই-ফাই সমর্থন করে। অন্যদিকে যদি রাউটারের এই প্রযুক্তি সমর্থন না করে তবে ২.৪ গিগাহার্জ এবং ৫ গিগাহার্জ উভয়ই সমর্থন করবে না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরানো ডিভাইসগুলো ২.৪ গিগাহার্জ ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সমর্থন করে। তবে ব্রান্ড স্টিয়ারিং রাউটার ২.৪ গিগাহার্জ ওয়াইফাই সংযোগে সাহায্য করে থাকে। এই সংযোগের জন্য ম্যানুয়ালি সংযুক্ত করার দরকার হয় না। ব্রান্ড স্টিয়ারিং দুর্বল সংযোগের নেটওয়ার্ক ভিড় এড়াতে ২.৪ গিগাহার্জ এবং ৫ গিগাহার্জ উভয় নেটওয়ার্কই ডিভাইসের মধ্যে রাউটার দ্বারা বিভক্ত করে থাকে। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন, স্মার্টটিভি, স্মার্ট স্পিকার, সেট-টপ বক্স এবং আরও একাধিক গ্যাজেট ব্যবহারে ইন্টারনেটে যানজটের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়। ইন্টারনেটের এই সমস্যা সমাধান করার জন্য ব্র্যান্ড স্টিয়ারিং খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/এজেড)