একজন মায়ের গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ মে ২০২১, ১৭:১৯

কেন হুট করে মুহুর্তের সিদ্ধান্তে ক্লিনিকাল ছেড়ে প্যারাক্লিনিক্যাল বিষয়ে আসলাম, কেন কারো কাছ থেকে কোনো পরামর্শ না নিয়ে এই আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিলাম, কেন যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও ক্যারিয়ারের দিকে আরও যত্নবান হলাম না, কেন একজন ভবিষ্যৎ গাইনোকলজিষ্টকে টুঁটি চেপে হত্যা করলাম, এই প্রশ্নগুলো বারবার শুনতে হয় আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে।

আমার মা সপ্তাহে একবার হলেও আক্ষেপ করেন। বলেন, “মা, আবার কি ফিরে আসা যায় না?” মাকে যত বোঝাই যে আমি খুব ভালো আছি, কিছুতেই বুঝতে চান না। কষ্টটা যেন তার বুকের ভেতর দলা পাকিয়ে থাকে, মাঝে মাঝেই হয়তো তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বাবা কিছুই বলেন না, তবে কষ্টটা আঁচ করতে পারি। বড় এই সন্তানটিকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল, আশা ছিল। আমার স্বামীর ও আফসোস কম নয়। বড়ই স্বেচ্ছাচারী আমি। দ্বিগবিদিক না ভেবেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম এক নিমেষে। ঘনিষ্ঠজন ছাড়া জানে না এর কারণ। কাউকে বলতে অস্বস্তি হয়। ব্যাপারটাকে সবাই খুব হালকা করে দেখে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনো আফসোস, অপরাধবোধ বা দুঃখ নেই। কখন ও হবেওনা আমি জানি। কারণ বিনিময়ে যা পেয়েছি তা আমার জীবনের চেয়েও মূল্যবান।

৩০ ডিসেম্বর, ২০০৭, রবিবার, দিবাগত রাত ৩টা। আমি ৩২ সপ্তাহের প্রেগ্ন্যান্ট। কুরবানি ঈদের ছুটিতে ঢাকায় এসেছিলাম। খুব ভোরেই শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। ঘুম ভেঙ্গে গেল হঠাৎ। মনে হলো পানির উপর শুয়ে আছি। একবার মনে হলো স্বপ্ন দেখছি, আবার মনে হলো এই তীব্র শীতে তো এত ঘামানোরও কথা নয়। একটু নড়লেই পানি যেন স্রোতের মতো বেরুচ্ছিল। আর আমি ভিজে সপসপে। স্থির হয়ে রইলাম আর শংকায় দুরুদুরু কাঁপছিল বুক। চোখের পানি বাধ মানছিল না। ডাক্তার বলে সহজেই অশনি সংকেত বুঝতে পারছিলাম। অনাগত শিশুর মারাত্মক ক্ষতির আশংকা টের পাচ্ছিলাম। এদিকে তপন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আমি ওর বাহুতে একটু চাপ দিতেই ঘুম থেকে উঠে বলল, “কি হয়েছে?” বললাম, “পানি ভাংছে” ব্যাপারটা ও বুঝলো না বলল “মানে?” আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম, “আমাকে এক্ষুনি হাসপাতালে নিয়ে চল।

বাচ্চা যে থলির মধ্যে থাকে তা ছিড়ে গেছে। বেশি দেরি করলে বিপজ্জনক অবস্থা হবে। বেচারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ল। স্বাভাবিক হতে হয়তো কয়েক মিনিট লাগলো। শাশুড়িকে ডাক দিল। উনি সাথে সাথে ব্যাপারটা বুঝে গিয়ে অস্থির হয়ে পড়লেন শ্বশুরকে বললেন, “তাড়াতাড়ি এম্বুলেন্স ডাকো”। শ্বশুরের ও দিশাহারা। এর মধ্যে আমার খালু শ্বশুর গাড়ি নিয়ে হাজির হলেন। এত বিপদের মাঝেও আমার এই হুঁশ ছিল যে আমাকে এমন জায়গায় ভর্তি হতে হবে যেখানে স্বল্প খরচে প্রিম্যাচিউর শিশু ম্যানেজ করার মতো ব্যবস্থা আছে।

তপনকে বললাম, “বারডেমে চল”। তপন বারবার একটাই প্রশ্ন করছে, ‘বাচ্চা কি নড়ছে?” আমি অস্থিরতা আর চিন্তায় কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আর পানি কমে যাওয়ায় হয়তোবা বাচ্চা নড়লেও আমি টের পাচ্ছিলাম না। ভোর পাঁচটায় বার্ডেমে পৌছালাম। ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চার ফুসফুসের পূর্ণতার জন্য আর ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য ইঞ্জেকশন দেয়া হলো। আর মেশিন দিয়ে চেক করে দেখলো বাচ্চার হার্টবিট ঠিক আছে। কর্তব্যরত ডাক্তার বললেন সন্ধ্যায় সিজার হবে। সবাই কিছুটা আস্বস্ত হলেও আমি বিমূঢ়। কারণ পানি তখন ও অঝোর ধারায় ঝরছে। আমাকে ওটির পাশে অবসারভেশন রুমে রাখা হলো।

বেলা ১১ টায় টি এ চৌধুরী স্যার আসলেন। বললেন “বিকেল ৪ টায় অপারেশন হবে” আমি বিহবল হলে স্যারের হাত ধরে মিনতি করে বললাম, “স্যার, এত পানি ভাঙ্গছে, আমি নড়তেও পারছি না। বিকেল হতে হতে তো আমার বাচ্চা বাঁচবে না”। স্যার মেডিকেল অফিসারকে বললেন, “এক্ষুনি ওটিতে নাও, আমি অপারেশন করব’। অপারেশনের পুরোটা সময় আমার জ্ঞান ছিল। আমার মেয়ে জন্মানোর সাথে সাথেই সে কি চিৎকার। আর আমি কাঁদছি। আনন্দের কান্না কাঁদছি। এনেস্থেসিস্ট বার বার চোখ মুছে দিচ্ছিলেন কিন্তু চোখের জল যে অবাধ্য। আমি শুধু এক ঝলক ১.৯ কেজি ওজনের আমার মেয়ের তোয়ালে প্যাচানো ছোট্ট মুখখানিই দেখতে পেয়েছিলাম মাত্র।

জন্মের সাথে সাথে ওকে রাখা হলো ইনকিউবেটরে কারণ সম্ভাব্য তারিখের বেশ আগে জন্মানোতে ও বাইরের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারতো না। নিমেষেই শরীরের তাপমাত্রা নেমে যেতো। আমি ওয়ার্ডেই ছিলাম। পাশের বেডের মায়েরা যখন বাচ্চাদের কোলে নিয়ে বুকের দুধ খাওয়ায়, আদর করে, অনেকসময় অতিরিক্ত কান্নাকাটিতে বিরক্ত হয় তখন আমি ভাবতাম, ইশ আমার ময়না পাখিটা কি করছে? কাদলে কে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছে? যে আমার পেটে তিল তিল করে বড় হয়েছে সেই মাকে কি ছোট্ট এইটুকুন মানুষটা খুঁজছে?

জন্মের দ্বিতীয়দিন সিস্টার এসে দুই ঘন্টা পর পর গিয়ে মেয়েকে বুকের দুধ খাইয়ে আসতে বললেন। কি খুশি আমি! মেয়েটাকে বুকে জড়িয়ে ধরব। আদর করব। আমাকে দেখতে যারা আসছে তারা সবাই বিভিন্ন গল্প নিয়ে মশগুল কিন্তু আমার চিন্তা কখন দুই ঘন্টা পার হবে? দুই ঘন্টা এত লম্বা সময় কেন, কাটতেই যে চায় না। আমার ফুলের কাছে যাই আমি। এত ছোট্ট। ইনিকিউবেটরে থাকতে থাকতে কেমন কালচে একটা আবরণ পড়েছে গায়। গভীর ঘুমে। কোলে তুলে নিতাম। বুকে জড়িয়ে ধরে রাখতাম কিছুক্ষন, শরীরের গন্ধ শুকতাম। এত মায়া কোত্থেকে আসলো জানি না। নাড়িছেঁড়া ধন কি এজন্যই বলে? চোখ ভিজে উঠ্ত আমার। ওকে রেখে ফিরে আসতেই ফেটে চৌচির হয়ে যেত বুক। প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ বুঝি এমনই। এভাবেই কেটে গেলো দশদিন। রিলিজ হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে আর আমার বেডে দেয়নি। আল্লাহর অশেষ কৃপায় একেবারেই বিদায় নেই সুস্থ মেয়েকে নিয়ে।

এরপরই শেষ নয়। প্রায়ই ভয়ংকর ঠান্ডা লাগত ওর। প্রিম্যাচিউর বলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় একটুতেই অসুস্থ হয়ে যেত মেয়েটা। সাড়ে তিন মাস বয়সে ভয়ংকর রকম ঠান্ডা লাগলো। কাশি শুরু হলে আর থামতোই না। আর শুইয়ে দিলে কাশির দমক আর ও বেড়ে যেতো। নীল হয়ে যেত কাশতে কাশতে। সারারাত সারাদিন আমি আর তপন পালা করে কোলে নিয়ে হাটতাম। হাসপাতালে নিলে আর ভর্তি করত না। সাপোর্টিভ চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিতো। বাসায় আসলে আবার একই অবস্থা।

একদিন হঠাত মেয়েটা কেমন নিস্তেজ হয়ে গেল। ঘুমাচ্ছে তো ঘুমাচ্ছেই। বুকের দুধ টেনে খাওয়ার ও শক্তি নাই। এবার আর আগ পাছ চিন্তা না করে হাসপাতালে ভর্তি করালাম। কোনো কেবিন খালি পেলাম না বিধায় ওয়ার্ডে ভর্তি হতে হলো। এদিকে শ্বাশুড়ী অসুস্থ আর কয়েকদিন আগে আমার বাবা স্ট্রোক করায় মা ও আসতে পারছিলেন না। অনভিজ্ঞ আমি আর এই অসুস্থ সন্তান। তপনও সাহায্য করেছে অনেক। কিন্তু রাতে তো ওয়ার্ডে পুরুষ এলাউড ছিল না। ফলে ২৪ ঘন্টার যুদ্ধটা ছিল আমারই।

আমি একবারে উদ্ভ্রান্ত মা। পাগলিনীর মতো হয়ে গিয়েছিলাম। মেয়ের যাতে শ্বাসকষ্ট না হয় সারাদিন রাত কোলে নিয়ে থাকতাম। খাওয়া দাওয়ার কথা তো ভুলেই যেতাম। এক দুই গ্রাস ভাত পানি দিয়ে গিলে খেতাম। এভাবে নির্ঘুম ৭২ ঘন্টা কেটে গেল। কোনো উন্নতি নেই মেয়ের। এদিকে আমার মা সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ বাবাকে রেখে চলে আসলেন হাসপাতালে। কত অনুনয় করলাম। বললাম, ‘আমিই পারব’। মা একেবারে নাছোড়বান্দা। তিন দিন পর পাগলের মতো ঘুমালাম মায়ের কোলে।

সিস্টাররা নাকি মাকে বলছিলেন, ‘এমন মা আমরা দেখিনি’। এরপরের দিনগুলো ছিল আর ও ভয়াবহ। মেয়ের অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। প্রচন্ড জ্বর আসে, শ্বাসকষ্ট ত আছেই। পাথর হয়ে গিয়েছিলাম আমি। চোখের পানি শুকিয়ে গেছিল আমার। কাউকে সহ্য করতে পারতামনা। আর শুধু ভাবতাম মেয়ের যদি কিছু হয়ে যায় কীভাবে বাসায় যাবো? ওর ছোট্ট ছোট্ট জামা, কাথা, পটি, ফীডার, বাটি, চামচ, ওয়াল ক্লথ। বাসার চারদিক জুড়ে ওর কত কিছু? কীভাবে বাচবো আমি, কী নিয়ে বাঁচবো?

মেয়েকে দেখলেই বুকটা ফাকা হয়ে যেত। মেয়েকে নাকে নল দিয়ে নামে মাত্র দুধ খেতে দেয়া হতো। ক্ষুধায় চিৎকার করে কাঁদত। কাদতে শুরু করলেই শূন্য ফীডারের নিপল মুখে দেয়া হলে ও পাগলের মতো চুষত। কিছুক্ষণ পর আবার কান্না। কোনো মায়ের পক্ষে ক্ষুধার যন্ত্রণায় শিশুর কান্না সহ্য করা যে কত কঠিন তা ভুক্তভোগি ছাড়া কেউ বুঝবে না।

এরপর আসলো ঘোর অন্ধকারময় দিন। জ্বর তো কমছিলই না। কাশির দমক যেন বেড়েই যাচ্ছিল। আমিও না খেতে খেতে রুগ্ন, খিটখিটে হয়ে গিয়েছিলাম। মা সারাদিন আমার পিছে খাবারের প্লেট নিয়ে ঘুরতেন। আমি শুধু বলতাম, ‘যেদিন আমার মেয়ে মুখে খাবে সেদিনই আমি খাবার মুখে তুলব’। মা কাদতেন আর বলতেন , ‘তুই ও তো আমার মেয়ে। তুই না খেলে আমার কেমন লাগে বল? লক্ষী মা তুই গ্রাস খা’। আমি চিৎকার দিয়ে প্লেটটা সরিয়ে দিতাম।

একরাতে মেয়ের ১০৫ জ্বর। তপন মাথায় পানি দিচ্ছে আর আমি ওর শরীর স্পঞ্জ করাচ্ছি, এমন সময় হঠাত ওর ভয়ংকর শ্বাসকষ্ট উঠলো। কষ্টে আমার সাড়ে তিন মাসের বাচ্চাটা নীল বর্ণের হয়ে গেল। হাপড়ের মতো ওর ছোট্ট বুকটা ওঠা নামা করছিল। আমি দৌড় দিয়ে ডক্টরস রুমে গিয়ে ডাক্তারকে ডাকলাম। ডাক্তার এসে দেখে বললেন, ‘বাচ্চার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ওর আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে’। আমি অসাড় হয়ে গেলাম। মেয়েকে নেয়া হলো আইসিইউতে। আমিই কোলে করে নিয়ে গেলাম। আদরের চুমু খেতে লাগলাম ওর কপালে গালে থুতনিতে নাকে গলায়। এই আদর নেয়ার বোধও তখন নেই মেয়ের। আমার বুক থেকে কেড়ে নিল যেন ওকে। আমি পাথর হয়ে গেলাম। রুমে আসলাম। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলাম, ‘হে আল্লাহ, পরওয়ারদিগার। আমি জানি তুমি কাউকে হতাশ করোনা। আর যা করো সবই ভালোর জন্য। আমার ক্যারিয়ারের বিনিময়ে আমার সন্তানকে তুমি আমার বুকে ফিরিয়ে দাও’।

কেন যেন তৎক্ষণাৎ ক্যারিয়ারের কথাটাই আমার মনে বারবার আসছিল, হয়তোবা বেশি ক্যারিয়ারিস্ট ছিলাম বলে। তিনদিন পর আল্লাহ আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিলেন আমার বুকে আর আমি আমার আমি আমার এতদিনের লালিত স্বপ্নকে চিরতরে পরিত্যাগ করলাম কোনো আফসোস না রেখে।

মেয়ের বয়স ডিসেম্বরের ত্রিশ তারিখ ১৩ বছর হলো। কখনো আফসোস হয় না। মনে হয় ক্লিনিক্যাল ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়াতে মেয়েকে আমি যথার্থ সময় দিতে পেরেছি যেটা ওর জন্য খুবই দরকারি ছিল। সবসময়েই মনে হয় জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে কোনো বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ এটা নির্ধারণ করা খুব জরুরি। আমার ক্ষেত্রে যেমন ছিল আমার সন্তান।

প্রতিটি মায়ের এমন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ যাতে নিজে ক্যারিয়ারের দিক থেকে অনেকখানি পিছিয়ে গেলেও অপরাধবোধে না ভুগতে হয়।

ডা. নুসরাত সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক, ভাইরোলজী বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

ঢাকাটাইমস/১২মে/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

বারবার ফোটানো চা খেলেই মারাত্মক বিপদ! বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :