পৃথিবীর জীবাণু মঙ্গলে!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ মে ২০২১, ১৫:২৮

মঙ্গলের আকাশ চলে গেল পৃথিবীর দখলে। লাল গ্রহের কক্ষপথে পাক খেতে থাকল একাধিক যান। সংযুক্ত আরব আমিররাতে ও চীনের পাঠানো মহাকাশযান এখনও মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরছে। অন্যদিকে নাসার রোভার ল্যান্ড করেছে লাল গ্রহের মাটিতে। মঙ্গলে গবেষণাও শুরু করে দিয়েছে নাসার রোভার ও হেলিকপ্টার।

একজন জিনতত্ত্ববিদ বলেছেন যে সম্ভাবনা থাকতে পারে যে কিছু জীবাণু প্রতিবেশী গ্রহে যাওয়ার পথে বাধা পেয়েছিল। পৃথিবী থেকে লাল গ্রহের উদ্দেশ্যে প্রায় ৩০টি মহাকাশযান যাত্রা করে। এর সঙ্গে কি অন্য কিছুও মঙ্গলের জন্য যাত্রা করেছিল? এই প্রশ্ন তুলেছেন ওয়েল কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোমিক্স, ফিজিওলজি এবং বায়ো ফিজিক্সের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ম্যাসন এই প্রশ্ন তুলেছেন।

সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে জিনতত্ত্ববিদ প্রশ্ন তুলেছেন, কোনও জীবাণু বা বীজ পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে যাওয়ার পর সেটি বেঁচে থাকতে পারে এবং মঙ্গলে নিজের নতুন বাসস্থান তৈরি করতে সক্ষম?

বিজ্ঞানী মেসন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে জীবাণুর থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। দুটি ফ্লাইটের মাধ্যমে স্টেশনের আলাদা আলাদা জায়গা থেকে মেথাইলোব্যাক্টেরিয়ার চারটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে তিনটিকে ‘গ্রাম-নেগেটিভ, রড-শেপড, ক্যাটালাস-পজিটিভ, অক্সিডেস পজিটিভ, মোটিলে ব্যাকটিরিয়া’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চতুর্থটি চিহ্নিত হয়েছে মেথাইলোরব্রাম রোডেসিয়ানাম হিসাবে। মেথাইলোরব্রাম রোডেসিয়ানাম হল ব্যাকটিরিয়ার একটি স্ট্রেন যা ডিএনএ এক্সট্রাকশন কিট রিজেন্টের দূষক হিসাবে কাজ করে।

যদি কোনও জীবাণু মঙ্গল পৃষ্ঠের রোভারগুলোর সাহায্যে যাত্রা শুরু করে, তবে এটি বিজ্ঞানীরা যে নমুনাগুলো গবেষণার জন্য সংগ্রহ করছেন সেগুলোতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এর পাশাপাশি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের উপরেও প্রশ্ন তুলতে পারে। ফলে যে সব মিশন শুরু হয়েছে তা সমস্যায় পড়বে। এছাড়া ভবিষ্যতে যারা মঙ্গলে যাবেন, সেই সব নভোচারীদের কাছেও এই জীবাণুগুলো আরও উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তাদের জন্য এগুলো ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ম্যাসনের সন্দেহ এখন গ্রহটিতে মানুষের ডিএনএর সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৩মে/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা