দখল-দূষণে মৃতপ্রায় তিতাস

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২১, ১৭:৩২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সদরে তিতাস নদীতে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে এলাকার সব বর্জ্য। নদীর পাড়ে সে  বর্জ্যের উপর বালি ফেলে দখল করে জায়গা ও দোকান ঘর ভাড়া দিচ্ছেন এলাকার প্রভাবশালীরা। এভাবে দিনের পর দিন দখল ও দূষণে মৃতপ্রায় এক সময়ের খরস্রোতা তিতাস নদী। প্রতিনিয়ত এসব বর্জ্য ফেলায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে তিতাস নদীর শাখা নদী হিসেবে পরিচিত বুড়ি নদীটিও।

স্থানীয়রা জানান, এসব বর্জ্য নদীর পাড়ে ফেলায় দূষণের শিকার হচ্ছে আমাদের প্রিয় তিতাস নদী। অনেক প্রতিবাদ করেও  থামানো যাচ্ছে না প্রিয় নদীর দখল ও দূষণ।  

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনগর পৌরসভার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর মধ্যে তিতাস ও বুড়ি নদী অন্যতম। সেই তিতাস ও বুড়ি নদীকে কেন্দ্র করেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পৌর সদরের এই জায়গাটি।

প্রতিদিন নিয়ম করেই নবীনগর সদর বাজারের ফল ব্যবসায়ী,হোটেল ব্যবসায়ী,মুদি ব্যবসায়ীরা, বসতবাড়ি ময়লাবোঝাই করে দূষিত বর্জ্য ফেলছেন তিতাস ও বুড়ি নদীতে। এই নদীর পারে ময়লা ফেলার কারণে নদী ভরাট হয়ে নদীর পাড় ঘিরে গড়ে উঠছে নতুন নতুন অবৈধ দখলের স্থাপনা।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে এক সময় যত দূর চোখ যেত এ নদীর বিস্তৃতি চোখে পড়ত। এখন নদীর পাড় ঘিরে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। এখন চারিদিকে তাকিয়ে দেখি শুধু দখল আর দখল। এখন ময়লা ফেলে সে দখলদারদের সুবিধে করে দিচ্ছেন নবীনগর সদর বাজারের ফল ব্যবসায়ী, হোটেল ব্যবসায়ী,বাসা বাড়িসহ নানান অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ ভাবে প্রতিদিন ময়লা ফেলছেন এই তিতাস নদীর পাড়ে। সেই বর্জ্য গিয়ে পড়ছে নদীতে। এখন বর্জ্যে ও প্রভাবশালীদের দাপটে এ নদীর অস্তিত্ব বিলিন হওয়ার পথে।

এ বিষয়ে নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাশ বলেন, তিতাস নদীর পাড় পরিচ্ছন্ন রাখতে আমাদের পৌরসভার পক্ষ থেকে নদীর পারের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যে জায়গাগুলোতে সিসি ক্যামেরা নেই বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সেখানে ময়লা ফেলছে প্রতিনিয়ত। দখলদাররা নদীর পাড় দখল করে সুবিধা করতে পারবেন না, অল্প কিছু দিন বাদেই নদীর পাড় দিয়ে সড়ক তৈরি হবে। তিতাস নদী সুরক্ষায় নবীনগর পৌরসভা কাজ করছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪মে/এলএ)