​পাটুরিয়ায় ঢাকামুখী মানুষের ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি বালাই নেই

প্রকাশ | ১৭ মে ২০২১, ২০:২৮

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

লকডাউন ঘোষণার পরও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতেই হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই যাত্রীদের মাঝে লক্ষ্য করা যায়নি। যে যেভাবে পারছে, কার আগে কে ফেরি থেকে নামবে- তার প্রতিযোগিতা চলছে।

সোমবার সকাল থেকেই সরেজমিনে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে এমন চিত্র দেখা গেছে। কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছে ঢাকামুখী মানুষেরা। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ঘাট পার হতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।

সড়ক-মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল না করায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। জেলার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে যোগে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে।

কুষ্টিয়া থেকে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, পোশাক কারখানা খোলায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোতে করে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসেছি। তাছাড়া কয়েকবার পথে আটকে দেওয়ায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। দৌলতদিয়া আসতে মোট ছয়বার গাড়ি বদল করতে হয়েছে। ১৫০ টাকার ভাড়া লেগেছে ৬৭০ টাকা। এই ভোগান্তির শেষ কোথায়।

শতশত মাইল পার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে হাজারও মানুষ। ঘাটে আসা অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষের একই কথা বউ, পোলাপান আর নিজের পেটের তাগিদে মহামারি করোনা মাথায় নিয়ে কর্মস্থলের দিকে যেতে হচ্ছে। অনেকেই আবার দোকানের কর্মচারীসহ এনজিও কর্মীও রয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফেরি চলাচল করছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও পারাপারে কোনো অসুবিধা হবে না।

(ঢাকাটাইমস/১৭মে/এলএ)