নেতাদের ছাড়িয়ে আনতে সিবিআই অফিসে মমতার ছয় ঘণ্টা

প্রকাশ | ১৭ মে ২০২১, ২১:৪১ | আপডেট: ১৭ মে ২০২১, ২১:৪২

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

হঠাৎ করেই গ্রেপ্তার দলের চার নেতা। এর মধ্যে দুজন নিজের মন্ত্রিসভার সদস্য। খবর পেয়েই বেরিয়ে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়। হাজির হলেন ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান সংস্থা সিবিআইয়ের কলকাতার অফিসে। সরাসরি কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলেন নেতাদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো। সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে সেখানে বসে পড়লেন ধরনায়। টানা ছয় ঘণ্টা রইলেন সিবিআই অফিসে। অবশেষে আদালতে নেতারা জামিন পাওয়ার পর তিনি ফিরে এলেন নবান্নে।

নারদ-কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বর্তমান দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান বিধায়ক মদন মিত্র এবং সাবেক মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।

দলের নেতাদের এভাবে  গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা চলে যান সিবিআই অফিসে। নজিরবিহীনভাবে তিনি মোট ছয় ঘণ্টা সেখানে ছিলেন। তার দাবি ছিল, তার মন্ত্রী ও নেতাদের এভাবে গ্রেপ্তার করা বেআইনি। তাকেও গ্রেপ্তার করতে হবে সিবিআইকে।

এরপর মামলা যায় সিবিআই কোর্টে। ভার্চুয়ালি শুনানি হয়। সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, এই চারজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখনো চলছে। তারা এখনো প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। তাই তাদের জেলে রাখা হোক।

আদালতে গ্রেপ্তার নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদকাণ্ডে বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কে কেন গ্রেপ্তার করা হলো না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি গ্রেপ্তার চারজনের জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তাদের জামিন দেয়।

নেতারা জামিন পাওয়ার পর বিকাল পৌনে ৫টা নাগাদ সিবিআই অফিস নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গাড়িতে ওঠার পর উপস্থিত সমর্থকদের দিকে হাত নাড়েন মুখ্যমন্ত্রী। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে আসার পর অবশ্য প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি মমতা। সেখান থেকে বেরিয়ে তার গাড়িবহর যায় নবান্নের দিকে।

(ঢাকাটাইমস/১৭মে/জেবি)