কী আছে সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলার ধারায়?

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২১, ০১:৩৮ | আপডেট: ১৮ মে ২০২১, ০১:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। এই মামলায় রোজিনা ইসলামকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় বলা আছে চুরির শাস্তি। যে ব্যক্তি চুরি করে, সে ব্যক্তি যেকোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে যার মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।

৪১১ ধারায় বলা আছে, অসাধুভাবে চোরাই মাল গ্রহণ করা। যে ব্যক্তি কোনো মাল চোরাই বলে জেনে বা তা চোরাই মাল বলে বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও উক্ত চোরাই মাল অসাধুভাবে গ্রহণ বা রক্ষণ করে, সে ব্যক্তি যেকোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে যার মেয়াদ তিন বছর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে বিকাল তিনটার দিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সরকারি নথি চুরির অভিযোগে তাকে একটি কক্ষে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রোজিনা ইসলামকে ৯টার দিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এআইএম/জেবি)