মাটির নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়েও শেষ রক্ষা হলো না হামাসের!

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২১, ১০:১৫ | আপডেট: ১৮ মে ২০২১, ১১:৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সামরিক শক্তিতে অনেকটাই এগিয়ে ইসরায়েল। অর্থের জোরও তাদের বেশি। এটা আগে থেকেই জানে হামাস।  তাই মাটির নিচে জাল বিস্তার করতে শুরু করেছিল তারা। বছরের পর বছর ধরে গাজা থেকে ইসরায়েলের উপকণ্ঠ পর্যন্ত শিকড়ের মতো সুড়ঙ্গ বিস্তার করেছিল হামাস।

শুক্রবার থেকে একনাগাড়ে ৪৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তার বেশির ভাগ গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েলি সেনা। ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ১ হাজার বোমা এবং গোলাও ছুড়েছে ইসরায়েল। তাতে এত বছর ধরে গড়ে তোলা মাইলের পর মাইল এলাকা জুড়ে অবস্থিত হামাসের সুড়ঙ্গপথের একটা বড় অংশ ধূলিসাৎ হয়েছে।

তবে মুখোমুখি যুদ্ধে এই অসাধ্য সাধন হয়নি। বরং তার জন্য ছল-চাতুরির আশ্রয় নিতে হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীকে। শুক্রবার মধ্যরাতে আচমকাই ইসরায়েলি সেনা ঘোষণা করে যে, তাদের স্থলবাহিনী সরাসরি গাজায় হামলা করতে চলেছে।

এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই গাজা থেকে সুড়ঙ্গ পথ ধরে দলে দলে যোদ্ধাদের অস্ত্রশস্ত্র সমেত ইসরায়েলের উদ্দেশে পাঠাতে শুরু করে হামাস। কিন্তু আকাশ পথে আগে থেকেই বোমারু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাগুলো নিয়ে তৈরি ছিল ইসরায়েলি বাহিনী।

গুপ্তচর মারফত যেই না সুড়ঙ্গ পথে হামাস যোদ্ধাদের প্রবেশের খবর মেলে, এলোপাথাড়ি ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমা বর্ষণ করতে শুরু করে তারা। তাতেই যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই দমে গেছে হামাস! এর পর ইসরায়েলি সেনার এক মুখপাত্র ঘোষণা করেন, তাদের কোনও সেনাই সীমানা পার করেনি। তা না করেই লক্ষ্যপূরণ হয়েছে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের হাত থেকে ফিলিস্তিনকে রক্ষার জন্য গত ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে চলেছে সুন্নি ইসলামিক সংগঠন হামাস। ইসরায়েল এবং আমেরিকার মতো দেশ তাদের জঙ্গি সংগঠন বললেও, রাশিয়া, চীন এবং ইরানের মতো দেশ তাদের দাবিকে সমর্থন করে।

(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এজেড)