কবিতা

গল্পের পরম্পরা

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২১, ১৪:৫৬ | আপডেট: ১৮ মে ২০২১, ১৫:০১

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া

রোজ সকালে বাবার সঙ্গে হাঁটতে যখন পথে নামি,

বাবা যখন খানিক থামেন, আমিও তার সঙ্গে  থামি।

এদিক তাকান ওদিক তাকান, শ্বাস টেনে নেন বুকটা  ভ'রে,

সবুজ  ঘাসের শিশির ফোঁটা পায়ের ছোঁয়ায়  যায় যে ঝরে।

বাবার মতো দমটা টেনে আমিও নেই লম্বা শ্বাস,

আমার পায়ে জড়ায় সুখে শিশিরভেজা দূর্বাঘাস।

বাবা দেখান কাক-কবুতর শালিক-দোয়েল-টুনটুনি,

সবই দেখি কতুহলে; এদের কূজন-গান শুনি।

আবার বাবা দেখান কভু নানা রঙের ঘাসের  ফুল,

মেঘের ডানায় দেখান আবার সোনা আলোর কর্ণদুল।

দেখান দূরে যাচ্ছে উড়ে সাদা বকের মস্ত ঝাঁক,

দেখান আরো ওঠোনজুড়ে পায়রা ডাকে বাকুম বাক।

এসব নাকি বাবার বাবা; মানে আমার দাদাজান,

সব দেখাতেন তার ছেলেকে যখন ভোরে হাঁটতে যান।

নিজের দাদীর কাছে শোনা গল্প বলে দাদার মন,

আমার বাবার মনে জাগায় গল্প শোনার আকর্ষণ।

সেই মজাদার গল্পগুলো বাবা আমার কাছে বলে,

গল্প বলার সেই ধারাকেই বাঁচিয়ে রাখেন মজার ছলে।

আদ্যিকালের গল্প  চলে কালের পাখায় ভর করে,

নুতুন  রঙের  পুলক  জাগায়  অনাগতের  অন্তরে।

এমনি করেই পরম্পরায় গল্প চলে এই ধারায়,

প্রজন্ম তার গল্প নিয়ে ভবিষ্যতে পা বাড়ায়।

মাঝে মাঝে রূপকথাদের ঘটে নানান রূপান্তর,

ছেলে-বুড়োর  মনে তবু  গল্প বাঁধে মজার ঘর।