ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নেত্রীর ধর্ষণ মামলা

মাদারীপুর প্র‌তি‌নি‌ধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ মে ২০২১, ২০:৪৬

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেম করে ‘শারীরিক সম্পর্কে’ জড়িয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি হলেন এক ছাত্রলীগ নেতা। বুধবার মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মাদারীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক সাথি মাতুব্বর এ মামলা করেছেন।

তিতুমির কজেলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মারুফসহ তিনজনকে মামলায় আসামি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আপস-মীমাংসা করতে গেলে এ ঘটনা জানাজানি হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাথি ইসলামের সঙ্গে মারুফের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের জের ধরে সাথী তার স্বামীকে তালাক দেন। সাথী কেন্দুয়া ইউনিয়নের শ্রিনাথদি এলাকার মৃত জাফর মাতুব্বরের মেয়ে। মারুফ সদর উপজেলা পূর্ব পেয়ারপুরের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে।

গত ১৬ মে সকালে সাথী বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক মারুফের বাসায় যান। এসময় মারুফসহ মারুফের পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে সাথীকে মারধোর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।

সাথী বলেন, মারুফ আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিলে আমি আমার স্বামীকে তালাক দেই। এছাড়াও মারুফ আমাকে ঢাকায় নিয়ে ইসলামি শরিয়ত মতে বিয়ে করেন। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমার বাসায় ও মারুফের ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় আমরা থেকেছি। এখন মারুফ আমাকে অস্বীকার করছেন। মারুফ বলছেন আমাদের কোনো বিয়ে হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমি মারুফের সঙ্গে কথা বলতে তার বাসায় গেলে মা ও ছোটভাইসহ মিলে মারুফ আমাকে খুব মারধোর করে। আমাকে মেরে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়।’

তবে মারুফের দাবি, ‘এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। বিয়ের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। সাথি আমার মায়ের গায়ে আগে হাত তুলেছে। তারপরে আমার ছোটভাই একটা থাপ্পড় মেরেছে। সাথী একটা খারাপ মেয়ে। সে আমাকে ব্লাকমেইল করছে। আমার জীবনটা ও নষ্ট করে দিচ্ছে।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান অনিক বলেন, ‘কারো ব্যক্তিগত কুকর্মের দায় ছাত্রলীগ নেবে না’।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল মিঁয়া বলেন, ‘সাথী মাতুব্বর বাদি হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২১মে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :