ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলার চরাঞ্চল প্লাবিত

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ মে ২০২১, ১৭:৩৫ | প্রকাশিত : ২৫ মে ২০২১, ১৬:১০

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে জেলার বিচ্ছিন্ন ৪০টি চরের মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে নদী ও সাগর মোহনা উত্তাল রয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রচণ্ড বাতাস বইছে। নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঁধের বাইরে বসবাস করা মানুষের ঘরবাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে। সেখানকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।

এছাড়াও জেলার চরফ্যাশন উপজেলায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কুকরি-মুকরি, ঢালচর ও চরপাতিলাসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দুই হাজার মানুষ।

ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন। এতে সাত থেকে আটশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, অতিজোয়ারে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘেরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তলিয়ে গেছে।

এদিকে প্রশাসন দুর্গম চরাঞ্চলে বসবাস করা মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্যে পর্যাপ্ত ট্রলার এবং শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। সরকার প্রতি ইউনিয়নে দুর্যোগকালে শুকনো খাবারের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করেছে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, এসব চরাঞ্চল থেকে লোকজন নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্যে মোট ১৫টি ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নের আশ্রিতদের খাবারের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। তবে এখনও দেওয়া হয়নি।

লালমোহন উপজেলার ইউএনও আল নোমান বলেন, তারা খাবার সংগ্রহের জন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। খাবারের মজুদ করতে বলেছেন। যেন দরকারে সংকট না পড়ে। চারটি ট্রলার রাখা হয়েছে পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের জন্য। যদি কোনো খারাপ ইঙ্গিত পাই, যেন ব্যবস্থা নিতে পারি।

ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ৪০টি চরাঞ্চলের তিন লাখ ১৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষকে শুকনো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :