ইয়াসের প্রভাবে ভোলার ৩৫ গ্রাম প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলের ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জেলার বাঁধগুলো।
সকাল থেকে জেলাজুড়ে দমকা হাওয়া বইছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৬ কিলোমিটার।
এদিকে ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে ঝুঁকিতে থাকা প্রায় সহস্রাধিক মানুষকে গতকাল থেকেই সিপিপি, কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসছে। অতি জোয়ারে পানিতে মানুষের ঘরবাড়িসহ তলিয়ে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। পানিবন্দি মানুষকে তাৎক্ষণিক শুকনো খাবার বিতরণ করেছে প্রশাসন।
এছাড়াও ভোলা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জেলায় ৩২৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার বাঁধ সিসি ও জিও ব্যাগে মোড়ানো থাকলেও ২৫০ কিলোমিটার মাটির বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার চরফ্যাশন উপজেলার পাঁচটি পয়েন্ট, মনপুরা উপজেলায় তিনটি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দুইটি, লালমোহন উপজেলায় দুইটি এবং তজুমদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরে একটি করে ১৫টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল আক্তার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে, ভোলায় সৃষ্ট ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে আবু তাহের নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬মে/পিএল)