ইয়াসের প্রভাবে বড় ক্ষতি চিংড়িতে

প্রকাশ | ২৭ মে ২০২১, ২০:১১ | আপডেট: ২৭ মে ২০২১, ২০:১৫

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাটের প্রধান প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে আরও তিন হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত টানা জোয়ারের পানিতে এসব মাছের ঘের ভেসে যায়। এতে চাষিদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। জোয়ারের পানিতে পাঁচ হাজার ঘের ভেসে গেলেও চলতি অর্থ বছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোন প্রভাব পড়বে না বলে দাবি মৎস্য বিভাগের। এ নিয়ে দুই দিনের জোয়ারে জেলায় মোট পাঁচ হাজার মাছের ঘের ভেসে গেছে।
এর আগে বুধবারের জোয়ারের পানিতে জেলায় দুই সহস্রাধিক মাছের ঘের ভেসে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল মৎস্য বিভাগ।
বাগেরহাট মৎস্য বিভাগের বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) এএসএম রাসেল ঢাকাটাইমসকে বলেন, জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় মাছের ঘের ভেসে গেছে। এই চারটি উপজেলায় মাছের ঘেরের সংখ্যা ২১ হাজার। এরমধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে পাঁচ হাজার ঘের ভেসে গেছে। এসব ঘের থেকে যে পরিমাণ মাছ ভেসে গেছে, তার আর্থিকমূল্য সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা। জোয়ারের পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার মধ্যে রয়েছে রামপাল। জেলার মোট ক্ষতির ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হয়েছে রামপালে। জোয়ারের পানিতে এখানে চিংড়ি, কাকড়া ও সাদা মাছ ভেসে গেছে। মোট ক্ষতির সিংহভাগ ক্ষতি হয়েছে চিংড়ি ঘের ভেসে। জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত এসব চাষিরা নতুন করে মাছ ছেড়ে আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং চলতি অর্থ বছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোন প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেন এই মৎস্য কর্মকর্তা।
বাগেরহাট জেলায় ছোট-বড় ৬৭ হাজার মাছের ঘের রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের ৩৩ হাজার মেট্রিকটন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ^জিৎ বৈদ্য বলেন, বাগেরহাটের প্রধান প্রধান নদ-নদীতে বুধবারের জোয়ারের চেয়ে বৃহস্পতিবার চার সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদ-নদীগুলোতে চার থেকে সাড়ে ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। উপকূলীয় বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চলের বাঁধের বাইরে এবং বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে।
(ঢাকাটাইমস/২৭মে/এলএ)