কবিতা

শেকড়ের সন্ধান

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২১, ১৩:৪৫ | আপডেট: ৩১ মে ২০২১, ১৪:১২

কাজী জিয়া উদ্দিন

জনান্তিকে সঙ্গোপনে

কান পেতেছি মাটির সনে

সাত পুরুষের সাতকাহন

মাটিবর্তী জীপন-যাপন।

 

.

আমার ভেতর একটি নদী

কলকলিয়ে সারাবেলা

বলছে আমায় উদাস মনে

শেকড় থেকে মাটির ঢেলা।

 

.

গামছা বেঁধে সারাবেলা

মাটির সাথে করতো খেলা

খেলতে খেলতে শষ্য বপণ

চোখে ছিলো সুখের স্বপন।

 

. কাদামাটি, পাতাগুল্ম, মমতা মাখা

ছোট্ট ভিটে-মাটি

কোথায় পাবে ছায়া ঘেরা, মায়া ভরা

এমন বসত বাটি।

 

.

এই বাটিতেই পিতৃপুরুষ গেয়েছিলেন

প্রথম প্রণয় গীত

এই বাটিতেই তোমার আমার

প্রীতি-প্রীণম ভালোবাসার ভীত।

 

.

মানকলি, প্রেম-পীরিতির

বিশাল গল্পগাথা

ভালোবাসায় বুনলো তাঁরা

রঙিন নকশী কাঁথা।

 

.

গাঙের ঢেউয়ে করতো তাঁরা

সুখের জলকেলি

মুঠোই মুঠোই সুখ নিয়ে

করতো কোলাকুলি।

 

.

জোছনা রাতে জোছনা যখন

উপচে উপচে পড়ে

লাজ নম্র পিতৃপুরুষ

হাসে বাসর ঘরে।

 

.

গতরখাটা পিতৃ পুরুষ

সোঁদা মাটির আকুল প্রেম

লাঙল ফালে চষতো জমিন

খাঁটি মানুষ, নিকষিত হেম।

 

.

ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা চালে

প্রভাত সুরুজ স্নিগ্ধ আভা

মাঠ আর মাটি হাতছানি দেয়

ছেড়ে দাও মোকে, ওগো মনোলোভা।

 

.

আহা! কি মনোরম স্বর্গ সুখের

আমার বসতবাড়ি

সাত রাজারধন এই বাড়িতে

কেমন করে ছাড়ি।

 

.

পাথুরে এক নগর জীবন

ক্ষণে ক্ষণে ডাকে

মাতাল মনতো ছুটছে চলে

দাঁতাল ঘূর্ণিপাকে।