নিরাপত্তা চেয়ে মিতু হত্যার আসামি মুছার স্ত্রীর জিডি

প্রকাশ | ০১ জুন ২০২১, ১৯:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার পলাতক আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেয়ার পরদিন নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করেন বলে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কী নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল সোমবার তিনি আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।  

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহবুব মিল্কী বলেন, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মধ্যম ঘাগড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকতেন। ২০১৬ সালে মিতু হত্যার পর মুছার স্ত্রী পান্না আক্তারকে ফোনে হুমকি দেয়া হয়। গতকাল তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই নিজের ক্ষতি হতে পারে ভেবে তিনি জিডি করেছেন।’

মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, ‘আমি নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। তবে আমি জবানবন্দি দেয়ার পর এখনো কেউ আমাকে হুমকি দেয়নি। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে মিতু হত্যার ঘটনার পর আমাকে হুমকি দেয়া হয়েছিল।’

সোমবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মো. রেজার কাছে পান্না আক্তার ১৬৪ ধারায় সাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে মিতু হত্যা ঘটনার সঙ্গে তার স্বামীর সম্পৃক্তার বিষয়ে জানান তিনি।

এর আগে আদালতে তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। তখন তারা বাবুল আক্তারের নির্দেশে মুছাকে তিন লাখ টাকা দেয়ার কথা জানিয়েছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে পরবর্তী সময়ে মামলার গতিপথ পাল্টে যায়। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১১ মে ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে ১২ মে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা। স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। তারপর তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/০১জুন/আরকে/জেবি)