মেডিকেলছাত্রী নওশিন ক্যালিগ্রাফিতেও অনন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ জুন ২০২১, ২১:৫৩ | প্রকাশিত : ০৫ জুন ২০২১, ২১:৫০

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মেয়ে নওশিন নাওয়াল। সমৃদ্ধ এই নগরীতে বেড়ে উঠেছেন সুকুমার মনোবৃত্তি নিয়ে। এখন অধ্যয়ন করছেন চিকিৎসাশাস্ত্রে। চট্টগ্রামের ইন্সটিটিউট অব এপ্লায়েড হেলথ সায়েন্সেসের মেধাবী এই শিক্ষার্থীর আরেকটি সুপ্ত প্রতিভা আছে। নওশিনের যেই প্রতিভাটির বিষয়ে চেনা-পরিচিত কয়েকজন বাদে তেমন কেউ জানেন না।

নওশিন ভালো আঁকেন। মেডিকেলের পড়াশুনার চাপের মধ্যেও তিনি আঁকাআঁকি থেকে নিজেকে একটুও ছাড় দেননি। ফলে তিনি এখন এই কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয় ক্যালিগ্রাফির মতো জটিল শিল্পকর্ম তৈরিতে এরইমধ্যে নিজের স্বতন্ত্র স্বাক্ষর রেখেছেন চট্টগ্রামের এই মেয়ে।

“আঁকার নেশা আমার সেই ছোটবেলা থেকেই। ‘রং’ কিংবা ‘রঙিন’ জিনিসগুলো আমাকে খুব টানতো। যখন যা ভালো লাগতো সুন্দর হোক বা না হোক আঁকতে বসে যেতাম’- বলছিলেন নওশিন।

ছবি আঁকার প্রতি এমন নেশা দেখে মা-বাবা ষষ্ট শ্রেণিতে পড়ার নওশিনকে ভর্তি করিয়ে দেন আর্টস্কুলে। কিন্তু সেখানে গৎবাধা নিয়মে মন বসেনি এই শিল্পীর। তিন-চারদিন গিয়েই সেই স্কুল থেকে ইস্তফা নেন।

নওশিন বলেন, ‘এরপর বাসায় নিজেই নিজের মেতো আঁকতাম। নিজেকে এক-একটা দিন আঁকাআঁকির মধ্যে এক্সপ্লোর করতাম। পড়াশুনার সঙ্গে সঙ্গে এভাবেই চলছিল আঁকাজোকার কাজ।’

‘মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হলাম মেডিকেলের পড়াশুনায়। অধ্যয়নের চাপ বাড়ায় আঁকার কাজে সময় দিতে পারিনি তেমন। তবে করোনা মহামারী শুরুর পর নিজেকে অন্যভাবে আবিষ্কার করলাম।’

কেমন সেই আবিষ্কার জানতে চাইলে নওশিন জানান, করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর বাসায় কিছুটা সময় পাচ্ছিলেন তিনি। এরপর নিজে নিজেই আরবি ক্যালিগ্রাফি, ল্যান্ডস্কেপ আর্ট, পোর্ট্রেট স্কেচের মতো কাজগুলো করার চেষ্টা করেন তিনি।

বলছিলেন, ‘তিন-চার মাসের মধ্যেই এসব রপ্ত করে ফেললাম। এর মধ্যে পরিবার পরিজন বন্ধুবান্ধবদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় কিছু শিল্পকর্মও বিক্রি করলাম। সেসব থেকে আসা টাকা দুঃস্থ- অসহায় মানুষদের সেবায় দান করি।’

চিকিৎসাবিদ্যার এই মেধাবী শিক্ষার্থী মনে করেন, সমাজে নেতিবাচক বিষয়গুলো জাঁকিয়ে চর্চা হচ্ছে। এর মধ্যেও ভালো কাজ দিয়ে অন্য মানুষকে উদ্ভুদ্ব ও অনুপ্রাণিত করা যায়। এজন্য শিল্পচর্চা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

নওশিন বলছিলেন, তার শিল্পচর্চা কাছের মানুষদের অনেকেও হয়তো জানেন না। কারণ তিনি কখনও নিজেকে সেভাবে তুলে ধরতে স্বচ্ছন্দ নন। তবে কাজের মাধ্যমে পরিচিতিকে বড় অর্জন হিসেবে দেখেন তিনি।

ভবিষ্যতে একজন বড় চিকিৎসাবিদ হয়ে মানুষের সেবা করাটাই এই তরুণীর প্রধান লক্ষ্য। তবে সুযোগ পেলে নিজের শিল্পকর্ম নিয়ে একটা প্রদর্শনী করার ইচ্ছে রয়েছে তার।

নওশিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমি একজন “self taught artist not a businessman. And I believe art is peaceful and it gives me inner peace and happiness”।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

বারবার ফোটানো চা খেলেই মারাত্মক বিপদ! বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :