সকালের চেয়ে সন্ধ্যার ব্যায়াম ভালো কেন দেখুন

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০২১, ১৬:৩৫

একজন মানুষের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ব্যায়াম একটি নিত্যকর্ম হিসেবে গণ্য। মেদ পুড়ে, শক্তি বাড়িয়ে মন ও দেহ ঝরঝরে করে তোলে ব্যায়াম। বর্তমান বৈশ্বিক মহামারিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেশির ভাগ সময় ঘরে কাটাতে হচ্ছে প্রায় সবাইকে। অবসরে ঘোরাঘুরি করে শরীরে যেটুকু মেদ পুড়ত সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে এখন। এই সময়ে বেশি বেশি ব্যায়াম ও এক্সারসাইজের ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে সকালে নয়, সন্ধ্যায় ব্যায়াম করুন। কারণ সন্ধ্যার ব্যায়ামে ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আমরা যত ধরনের ব্যায়াম করি, এর মধ্যে যোগব্যায়াম অন্যতম। তাই সুস্থ থাকার জন্য যোগব্যায়ামে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এতে একাধিক রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।

যোগব্যায়াম বা অন্য যেকোনো ব্যয়ামের জন্য আমরা সাধারণত সকালের সময়টাই বেছে নিই বেশি। কিন্তু একটি সমীক্ষায় গবেষকরা দেখেছেন, সকাল নয়, সন্ধ্যার ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপযোগী।

অস্ট্রেলিয়ায় ‘স্প্রিঙ্গার’ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সকালের পরিবর্তে সন্ধ্যাবেলা ব্যায়াম করলে বেশি সুফল পাওয়া যায়। এর সাহায্যে মেটাবলিক স্বাস্থ্যোন্নতি সম্ভব হয়। পাশাপাশি সন্ধ্যাবেলা ব্যায়াম করলে হৃদরোগ ও ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সমীক্ষায় উঠে আসে, যারা সকালে ব্যায়াম করেন, তাদের মেটাবলিক স্বাস্থ্যে বিশেষ পার্থক্য চোখে পড়েনি। কিন্তু যারা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করেন, তাদের মেটাবলিক স্বাস্থ্যে উন্নতি দেখা গেছে। মেটাবলিজম মানে হলো, কেউ যে খাবার গ্রহণ করে, তা হজম করে শক্তিতে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে।

সন্ধ্যাবেলায় ব্যায়াম করলে মেটাবলিক স্বাস্থ্য ভালো হয় বলে সমীক্ষায় উঠে আসে। পাশাপাশি ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া ওজন কমানোও সহজ হয়।

সন্ধ্যাবেলার ব্যায়াম হৃদরোগীদের জন্য উপযোগী বলে দেখা গেছে। এ ছাড়া অনিদ্রার সমস্যাও দূর হয়।

এই সমীক্ষায় শুধু পুরুষ বিশেষ করে যারা বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন, তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। নারীদের অন্তর্ভুক্ত না করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে মাসিকের সময় তাদের মেটাবলিজম ধীরগতির হয়ে পড়ে।

ব্যায়ামের পাশাপাশি খাবারের দিকেও নজর দিন। মেটাবলিজমের জন্য খেতে পারেন- সতেজ ফল ও সবজি, হলুদ, প্রোটিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাদ্যবস্তু, ডার্ক চকোলেট, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, দই, মুসুর ডাল, মেথি দানা, গ্রিন টি ও কফি।

(ঢাকাটাইমস/৬জুন/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :