১৮০ মিনিটের বৃষ্টিতে থই থই বন্দরশহর চট্টগ্রাম

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২১, ১৭:৫৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

টানা তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। বাণিজ্যিক রাজধানীর নিচু এলাকাগুলোতে হাঁটু থেকে কোমর আর কোথাও গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্লাবিত হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। অফিসগামী যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে।

এমনকি নগরীর ফ্লাইওভারগুলোতে পানি আটকে থাকায় ফ্লাইওভারেও যান চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। প্রবল বর্ষণে নগরীর প্রধান সড়ক, গলি, উপগলি পানিতে তলিয়ে যায়। বাসা বাড়ি, দোকানপাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কক্ষেও পানি ঢুকে পড়ে।

রবিবার সকাল নয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা তথা ১৮০ মিনিট টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই তিন ঘণ্টায় ৭৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও দুই দিন ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সমুদ্র ও নদী বন্দরগুলোর জন্য কোনও সতর্কসংকেত নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারী ব্যবসাকেন্দ্র খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ ও কোরবানিগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (ইপিজেড) বিভিন্ন কারখানার নিচতলায়ও পানি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার খবর এসেছে।

বন্দরনগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, চান্দগাঁও, খতিবের হাট, বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ডিসি রোড, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চকবাজার, প্রবর্তক মোড়, মোগলটুলি, আগ্রাবাদ, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, দেওয়ানহাট, আসকারাবাদ, মনসুরাবাদ, পাহাড়তলী, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এসব এলাকার কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। নিচু এলাকার বাসিন্দারা বাসার জিনিসপত্র সরাতে পারেননি। এসব এলাকার নালা পানি চলাচলের মতো অবস্থা না থাকায় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পানি ঢুকে পড়ায় অধিকাংশ বাসায় দুপুরের রান্নাও হয়নি।

নগরীর আগ্রাবাদের বাসিন্দা নাজনীন নাহার জানান, বৃষ্টিতে তাদের এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। কর্মজীবী এই নারীকে অফিসে পৌছাতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতলের অভ্যন্তরেও পানি ঢুকে পড়ায় ব্যহত হয় চিকিৎসা কার্যক্রম।

এদিকে নিচের সড়কে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি ফ্লাইওভারগুলোও সয়লাব হয়েছে পানিতে। জমে থাকা পানি উপচে ফ্লাইওভার বেয়ে নীচে পড়ছে। ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়া গাড়িগুলোতে পানি ঢুকে পড়ে রাস্তার মাঝে বিকল হয়ে পড়ে অনেক যানবাহন। এতে করে যানজটের সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম আমবাগান আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, তাদের সর্বশেষ পরিমাপ অনুযায়ী দুপুর পর্যন্ত ৮০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/ব্যুরো/ডিএম)