বর্ণবাদী এবং নারী বিদ্বেষী মন্তব্যে নিষিদ্ধ রবিনসন
অভিষেকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও খারাপ সংবাদ শুনলেন ইংলিশ ক্রিকেট তারকা ওলি রবিনসন। প্রায় ৮ বছর আগে বর্ণবাদী এবং নারী বিদ্বেষী মন্তব্য করার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই পেসারকে। দল ছেড়ে আপাতত নিজ কাউন্টি সাসেক্সে যেতে বলা হয়েছে তাকে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট অভিষেক হয় রবিনসনের। বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর দলের প্রয়োজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংও করেছেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে বোলিংয়ে ৭ উইকেট এবং ব্যাটিংয়ে এক ইনিংসে ১০১ বলে ৪২ রান নিঃসন্দেহে ইতিবাচক অভিষেকেরই প্রমাণ দিচ্ছে। কিন্তু ম্যাচ শেষে সাধুবাদের পরিবর্তে তিরস্কারই মিলল তার কপালে।
২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত তার করা টুইটে ছিল সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মুসলিমদের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত। এছাড়া এশিয়ান বংশোদ্ভূত ও নারীদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যও ছিল।
রবিনসনের বয়স তখন ছিল ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। সেই সময়টায় তিনি খেলছিলেন লেস্টারশায়ার, কেন্ট ও ইয়র্কশায়ারের দ্বিতীয় দলের হয়ে।
এমন এক দিনে রবিনসনের এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে, যেদিন খেলা শুরুর আগে দুই দলই লিঙ্গবৈষম্যসহ ক্রিকেটে সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানায়। ইংল্যান্ড দল একটি ট্রেনিং জার্সি উন্মোচিত করে, যেখানে লেখা আছে বর্ণবাদ, লিঙ্গবৈষম্য বিরোধী নানা স্লোগান।
শাস্তি হিসেবে রবিনসনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এক বিবৃতিতে এ শাস্তির কথা জানিয়েছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইংল্যান্ড ও সাসেক্সের বোলার ওলি রবিনসনকে সবধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন তার ২০১২ ও ২০১৩ সালে করা টুইটগুলোর বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করা হবে এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে নেয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।’
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেও, ঘরোয়া তথা কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে রবিনসন।
(ঢাকাটাইমস/০৭মে/এমএম)