ইজিপিপির শ্রমিক দিয়ে কাবিটা প্রকল্পের কাজ!

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২১, ১৮:০২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) শ্রমিক দিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (কাবিটা) প্রকল্পের রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

২০২০-২১ অর্থ বছরে সাধারণ দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর বড়ভিটা গ্রামের নদীর ঘাট থেকে আশরাফুলের দোকান হয়ে পূর্বদিকে বদরুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখানে প্রকল্পের টাকা ব্যয় না করে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) শ্রমিকদের মাধ্যমে নামমাত্র মাটি কেটে নিয়ে প্রকল্পের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পুরো টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর বড়ভিটা গ্রামের নদীর ঘাট থেকে আশরাফুলের দোকানের সামনে পর্যন্ত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচিতে কর্মরত বিভিন্ন ওয়ার্ডের দুই শতাধিক শ্রমিক মাটি ভরাটের কাজ করছেন। এ সময় শ্রমিক দলনেতা আশরাফুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, রাস্তাটি কাবিটা কিংবা অন্য কোনো প্রকল্পের আওতায় আছে কি না তারা জানেন না। বিভিন্ন ওয়ার্ড সদস্যরা তাদেরকে কাজে লাগিয়েছেন।

এ বিষয়ে রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘চরের বিভিন্ন রাস্তা সংস্কারের জন্য ইজিপিপির শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হলেও ইউপি সদস্যরা কোথায় মাটির কাজ করিয়েছেন তা আমার জানা নেই।’  

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কোহিনুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ প্রকল্পের টাকায় হবে, ইজিপিপি শ্রমিক দিয়ে কাজ করার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কাবিটা প্রকল্পের কাজ অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) শ্রমিক দিয়ে করানোর সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৭জুন/কেএম)