‘মাদারীপুরে জামায়াত-বিএনপিকে পুনর্বাসন করেছেন শাজাহান খান’

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ জুন ২০২১, ২০:১৮

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাংসদ শাজাহান খান মাদারীপুরে জামায়াত-বিএনপিকে পুনর্বাসন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়াকে গালাগালি করে বক্তব্য দেন। আবার রাতেই মাদারীপুরে এসে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকে নিয়ে মিটিং করেন, তাদের পুনর্বাসন করছেন। এসব কিন্তু ভালো লক্ষণ না। আমার কাছে এসবের প্রমাণ আছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরে- আপনি তাদের সহযোগিতা না করেন। অথচ আপনি সোহ্রাওয়ার্দি হাসপাতালে গিয়ে বিএনপি লোকদের সহযোগিতা করেন। তাদের লাখ লাখ টাকা দেন, সেই প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।’

গত রবিবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করেন সাংসদ শাজাহান খান সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধারা। এই প্রসঙ্গ টেনে শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খানের নেতৃত্বে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। সেই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার। কি তার পরিচয়? তিনি জাসদ ও বিএনপি করেছেন। বিএনপির এমন এক নেতা কী আওয়ামী লীগের সভাপতির পদত্যাগ চাইতে পারে? এটা আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, তাদের জন্য লজ্জা।’

সাংসদ শাজাহান খানের পূর্বের ইতিহাস টেনে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘শাজাহান খান বুকে হাত রেখে বলেন- ১৫ বছর আগে আপনাদের কী ছিল? এখন কি হয়েছেন? এখন যা হয়েছেন, তা রাজৈর-মাদারীপুর মানুষের ভোটে। আপনি এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু জনগণের কোন উন্নয়ন হয়নি। সাধারণ কর্মীদের কোন উন্নয়ন হয়নি। শুধু নিজের পরিবার ও তার ব্যক্তিগত লোকের উন্নয়ন করেছেন তিনি।’

শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান আসুন, সামনা-সামনি আসুন। আপনি আপনার খতিয়ান নিয়ে বসেন, আর আমি আমার খতিয়ান নিয়ে বসি। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি- আপনার জন্য কি করেছি, আর আপনি আমাদের জন্য কি করেছেন? এসব প্রশ্নের জবাব আপনি দিতে পারবেন না। সেই সাহস আপনার নেই।’

৬ দফায় যারা রক্ত দিয়েছেন সে সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজৈর ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মাদারীপুরের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শাজাহান খানের সন্তান, স্ত্রী ও তিনি নিজেই। জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কী কামলা? শাজাহান খানের জন্য সারাজীবন তারা কৃষান দেবে? এর জবাব একদিন আপনাকে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানকে হুঁশিয়ার করে শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, শাজাহান খান যাদের দিয়ে আমার পদত্যাগ চান- এটা কিন্তু ভাল লক্ষণ না। জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আসার মতো সৎ সাহস আপনার নাই। আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন। আমি আপনাকে নিয়ে কি বলেছি। আমার বিরুদ্ধে কোন কথা থাকলে তা আওয়ামী লীগের পরিবারের মধ্যে আলোচনা করুন। ফেসবুকে রাজাকার, আলবদরদের সন্তানদের দিয়ে আমাদের ও আওয়ামী লীগের কুৎসা রটনা করে যাচ্ছেন- এটাও কিন্তু ভাল লক্ষণ না। এসব বন্ধ করুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন, যুবলীগের সভাপতি আতাহার হোসেন ব্যাপারী, ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান প্রমুখ।

এ বিষয়ে শাজাহান খানকে একাধিকবার ফোন করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/৮জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :