সাতক্ষীরায় শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ, উপসর্গে ৪ মৃত্যু

লকডাউনের পঞ্চম দিনে সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় ১০৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১৮২টি নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা ধরা পড়ে। শনাক্তের হার ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা জেলাটিতে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। একই সময়ে করোনার উপসর্গে মারা গেছেন চারজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বশেষ ফলাফলে এসব করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তাদের নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯৭ জনের দেহে।

করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকার নাজির আলী মিস্ত্রী (৭০), শ্যামনগর উপজেলার নৈকাটি গ্রামের সামাদ শেখ (৫৫), একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের এল.এম বকসো (৮০) ও সদর উপজেলার আখড়াখোলা গ্রামের মিজানুর রহমান (৫০)।

জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৩৬ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জেলায় মোট ৪৮ জন।

এদিকে করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ঠেকাতে প্রশাসনকে কিছুটা কঠোর হতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে চলছে তল্লাশি। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে চলছে মাইকিং। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাসসহ সকল ধরনের গণপরিবহন। করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির মধ্যেও শহর ও গ্রামাঞ্চলে অবাধে মানুষ যাতায়াত করছেন। সেখানে স্বাস্থবিধি মানার কোনো বালাই নেই। ভোমরা স্থলবন্দরেও সীমিত পরিসরে চলছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও তার সহকারীরা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সেজন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।

ঢাকাটাইমস/৯জুন/প্রতিনিধি/এমআর