স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না কালাইয়াবন্দর-ঢাকা রুটের লঞ্চগুলোতে

প্রকাশ | ১০ জুন ২০২১, ১৩:২৯ | আপডেট: ১০ জুন ২০২১, ১৩:৩৬

কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়াবন্দর-ঢাকা ও বগাবন্দর-ঢাকা নৌ-রুটের লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনা সংক্রমণ যেমন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা।

সংশ্লিষ্ট ঘাট ইজারাদাররা জানান, কালাইয়া বন্দর ও বগা বন্দর ঘাট থেকে আটটি ডাবল ডেকার লঞ্চ এবং বরিশাল অভ্যন্তরীন রুটে দৈনিক ছয়টি সিঙ্গেল ডেকার লঞ্চ আসা যাওয়া করে। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক ব্যবহার করে, সীমিত যাত্রী বহনের নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। অথচ স্বাস্থ্যবিধির সকল প্রকার নির্দেশনা উপেক্ষা করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ শতাংশ হারে ভাড়া ঠিকই বেশি নিচ্ছেন।

ব্যবসায়ী সুভাষ দেবনাথ বলেন, প্রতি সপ্তাহেই কালাইয়া-ঢাকা রুটে ব্যবসায়িক কাজে লঞ্চে যাতায়াত করেন তিনি।

তিনি জানান, লঞ্চে পাঁচ শতাংশ মানুষের মুখে মাস্ক থাকে। এছাড়া সামাজিক দুরত্বের কোনো বালাই নাই। অথচ ভাড়া আগের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি নিচ্ছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

অপর এক যাত্রী খলিলুর রহমান বলেন, কালাইয়াবন্দর ঘাট থেকে ঢাকা যেতে দ্বিতীয় শ্রেণির (দোতালার ডেকের ফ্লোরে) আগে ভাড়া নেওয়া হত ২৫০ টাকা করে। বর্তমানে তা থেকে ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা।

খালিলুর রহমান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ভাড়া অতিরিক্ত নিলে কোনো আপত্তি ছিল না। যদি স্বাস্থ্যবিধি নূন্যতম মানা হত।

মঙ্গলবার বিকালে কালাইয়া বন্ধর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বন্ধন-৫ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির যাত্রী মাঈনুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ধ বাবা মাকে নিয়ে জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যাই। কিন্তু বিধিনিষেধ কোনটাই মানা হচ্ছে না। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে একাধিক লঞ্চের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তরা বলেন, আসলে আমরা সরকারের সকল নির্দেশনাই মেনে চলতে চেষ্টা করি। তবুও বিভিন্ন ঘাটে লঞ্চ নোঙর করতে গিয়ে যাত্রীরা উঠে পড়ে। তারপরও চেষ্টা করি যাতে সামাজিক দুরত্ব মেনে যাত্রীরা নিরাপদে যাত্রা করতে পারেন।

এদিকে কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির উপ পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি প্রতিদিনই ঘাটে ঘাটে নজর রাখি যাতে কোনো লঞ্চ কর্তৃপক্ষই নির্দেশনার বাইরে যাত্রী না উঠাতে পারে। মঙ্গলবার কালাইয়াবন্দর ঘাটে ছিলাম লঞ্চের যাত্রীদের সকলেরই মুখে মাস্কসহ সামাজিক দুরত্বে অবস্থান ছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে দেখব।

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/পিএল)