গড়াই নদীর সেতু নির্মাণে ঘটবে বাণিজ্যিক প্রসার
গড়াইয়ের তীরে শ্রমিকদের সারি। তাদের চোখে মুখে কর্ম ব্যস্ততার ছাপ। চলছে রাজবাড়ী পাংশার নাদুরিয়া ও মাগুরা শ্রিপুরের লাঙ্গলবাঁধের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ। সেতুটি চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। নতুন করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলার মধ্যকার বাণিজ্য প্রসার লাভ করবে।
এ পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ১০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সেতুর ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হবে বলে ধারণা করছে পাংশা এলজিইডি। সেতুটি নির্মাণের ফলে আগামীতে এখানকার অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
তারা বলছেন, এ সেতু বাস্তবায়ন হলে রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, পাবনাসহ আরো বেশ কয়েকটি জেলা সরাসরি এর সুফল পাবে। এছাড়াও লাঙ্গলবাঁধের এই সেতুর মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষ সরাসরি তিন ধরনের সুবিধা পাবে।
প্রথমত, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পরিবহন পথে সময় লাঘব হবে।
দ্বিতীয়ত, বাণিজ্যিকভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সম্ভাবনা আসবে। চারটি জেলার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করবে। রাজবাড়ী-মাগুরায় একে অপরের বিনিয়োগ বাড়বে।
এছাড়াও, রাজবাড়ীর কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। তাদের উৎপাদিত পচনশীল পণ্য সরাসরি খুলনা, মাগুরা ও অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবেন। এতে পণ্যের ভালো দাম পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্তনিয়া বলেন, এ সেতুর মাধ্যমে রাজবাড়ী ও মাগুরাসহ আরো বেশ কয়েকটি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। মাগুরা ও রাজবাড়ীর মানুষ দুই জেলায় খুব সহজে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবে। সবমিলিয়ে এটি রাজবাড়ীকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
পাংশার নাদুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল বলেন, লাঙ্গলবাঁধের এই সেতুর কর্মযজ্ঞে আমরা খুশি।
পাংশার রশিদ নামে এক গাড়িচালক বলেন, এই সেতু চালু হওয়ার পর রাজবাড়ীর সঙ্গে মাগুরা ও ঝিনাইদহের সরাসরি পরিবহনে যোগাযোগ হবে এই লাঙ্গলবাঁধ সড়ক দিয়ে। রাজবাড়ী থেকে মাগুরা যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় ট্রলার ঘাটের বিড়ম্বনা এড়াতে সিংহভাগ গাড়ির গন্তব্য হবে এই সেতু। এতে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচবে।
(ঢাকাটাইমস/১০জুন/পিএল)