আ.লীগ নেতা এনু-রুপনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ জুন ২০২১, ১৭:১৫ | প্রকাশিত : ১০ জুন ২০২১, ১৭:১২
ফাইল ছবি

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার পুরান ঢাকার আলোচিত দুই ভাই বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু এবং রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৮৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পৃথকভাবে দুটি চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি জানান দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের হোতা মেসার্স এনু-রুপন হাউজের প্রোপাইটার এনামুল হক এনু কর্তৃক অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৮ টাকা ও পৃথক একটি চার্জশিটে তার ভাই রুপন ভূঁইয়া ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন কথা বলা হয়।

এনামুল হক এনুর সঙ্গে চার্জশিটে তাদের অন্যতম সহযোগী হারুনুর রশিদ ও আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ রহমান কর্তৃক অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে বর্ণিত সম্পদের মধ্যে যথাক্রমে ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে এনামুল হক এনুকে প্রত্যক্ষ সহায়তা করায় এই চার্জশিটে তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, এনামুল হক ভূইয়া এনু ও রুপন ভূঁইয়ার অর্জিত সম্পদের অবস্থান, মালিকানা নিয়ন্ত্রণ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর রূপান্তর হস্তান্তর পূর্বক মানিলন্ডারিং অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার কমিশন চার্জশিটের অনুমোদন প্রদান করে।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ১৮ সেপ্টেম্বর ওয়ান্ডারার্সে অভিযান চালাতে গিয়ে জুয়া ও মদ উদ্ধারের ঘটনায় দুই ভাই এনু-রুপনের সম্পৃক্ততা পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এরপর ওই বছরই ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়ায় প্রথমে এনু ও রুপনের বাড়িতে এবং পরে তাদের এক কর্মচারী এবং তাদের এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুকে থাকা প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। এছাড়া ২৩ অক্টোবর ২০১৯ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

এ ঘটনায় গত বছরের ১৩ জানুয়ারি ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনা মামলায় পলাতক দুই সহোদর এনামুল হক এনু এবং রুপন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভোররাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর গত বছরের ২৫ ফেব্রয়ারি পুরান ঢাকার লালমোহন স্ট্রিটের ১১৯/১ হোল্ডিংয়ে মমতাজ ভিলায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি সিন্দুকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখেরও বেশি টাকা, এক কেজি সোনা ও অসংখ্য বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে র‌্যাব।

অভিযানের প্রথম পর্যায়ে র‌্যাবের কাছে দুই ভাইয়ের মালিকানায় ১৫টি বাড়ির তথ্য থাকলেও, গ্রেপ্তারের পর সিআইডি জানায়, বাড়ির সংখ্যা ২২। আর রিমান্ড শেষে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ১২০টি বাড়ির তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারের পর এই দুই ভাইয়ের বিরদ্ধে র‌্যাব ও সিআইডি একাধিক মামলা করে।

ঢাকাটাইমস/১০জুন/এসআর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :