সীমান্তজেলায় করোনা: সিভিল সার্জনদের প্রশিক্ষণ দেবে বিএসএমএমইউ

প্রকাশ | ১০ জুন ২০২১, ১৮:০৯ | আপডেট: ১০ জুন ২০২১, ১৮:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সীমান্তবর্তী জেলা উপজেলাগুলোয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ।

 

বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর এ ব্লক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।

 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবাদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা চিকিৎসকদের মনোবল বৃদ্ধি করতে এ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।

 

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা উপজেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেকারণে বিএসএমএমইউর গাইড লাইন অনুযায়ী সেখানকার করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অবিলম্বে দ্রুত সংক্রমিত জেলা উপজেলাগুলোর সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের উন্নত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবাদানের সাথে সংশ্লিষ্ট ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা চিকিৎসকদের বিএসএমএমইউ থেকে ভার্চুয়ালি একযোগে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দেয়া হবে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিত্য নতুন অর্জিত জ্ঞান অন্য চিকিৎসকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে করে তারা রোগীদেরকে সঠিক চিকিৎসাসেবা দিতে পারেন। সীমান্তবর্তী জেলা উপজেলাগুলোর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা যাতে ঢাকামুখী না হয়, সেজন্য সেখানকার হাসপাতালগুলোতেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন ও হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।

 

বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, রোগীদের আপনজন মনে করে আপনজনের মতোই সম্বোধন করে তাদেরকে সেবা দিতে হবে।

 

ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল, ইন্টারনাল মেডিসিনি বিভাগের চেয়ারম্যান সোহেল মাহমুদ আরাফাত, উপ-রেজিস্ট্রার রসুল আমিনসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

এদিকে বিএসএমএমইউর কনভেনশন সেন্টারে গতকাল বুধবার চলমান লকডাউনের মাঝেও মোট ১৩০ জন কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন। গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৬৪ জন এবং গত বুধবার ৯ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৫ হাজার ২৯৬ জন।

 

এদিকে বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে বুধবার পর্যন্ত এক লাখ ৪৮ হাজার ৯৫৪ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে বুধবার ৯ জুন পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৪৫৭ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। অন্যদিকে করোনা ইউনিটে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ৯ হাজার ১৬৭ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৭৪ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ হাজার ২ শত ৯৪ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৮২ জন রোগী এবং আইসিইউতে ভর্তি আছেন ৬ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১০ জন।

 

ঢাকাটাইমস/১০ জুন/এএ/ইএস