শেখ হাসিনার কারামুক্তি ছিল গণতন্ত্রের মুক্তি: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ১১ জুন ২০২১, ১৮:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

১৩ বছর আগে ২০০৮ সালের ১১ জুন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসটি ‘প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস’ ছিল বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী বলেছেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরানো হয়েছিল। আর এই দিন জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আমরা সেই অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকেই মুক্ত করেছিলাম।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ‘১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাসমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির মুখে ১১ মাস পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে দিনটি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ বলেন, সেদিন জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে পর পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার ফলেই আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার মুক্তির সেই আন্দোলনের পথ ধরে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছিলেন এবং সেই ধারাবাহিকতায় জনগণ পরপর তিনবার রায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন, শেখ হাসিনা চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বের আসন অলংকৃত করেছেন।

পাকিস্তান বাংলাদেশের উন্নতি দেখে ‘হা-হুতাশ করে’—স্বাধীনতার ৫০ বছরে এটাকে বড় সার্থকতা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমস্ত সূচকে আমরা তাদের (পাকিস্তান) অনেক আগেই পেছনে ফেলেছি। তাদের প্রধানমন্ত্রী যখন পাকিস্তানকে ১০ বছরের মধ্যে সুইডেন বানানোর কথা বলেন, তাদের জনগণ বলেন সুইডেন লাগবে না, ১০ বছরের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশের অবস্থানে নিয়ে যান। ভারতকেও সামাজিক, মানবিক সূচকে ছাড়িয়ে এখন মাথাপিছু আয়েও বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ সভায় বক্তব্য দেন। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সমগ্র দেশ ও বিশ্বের মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।

ঢাকাটাইমস/১১জুন/এমআর