বিয়ের পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন নুসরাত! কার জন্য?

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ জুন ২০২১, ১০:৫৭

স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ এবং অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সন্তানের মা হতে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর একে একে বেরিয়ে আসছে নুসরাত জাহান সম্পর্কে অজানা তথ্য। সেই ধারাবাহিকতায় এবার জানা গেল, নিখিলের সঙ্গে বিয়ের কিছুদিন পর নায়িকা নাকি অতিমাত্রায় ঘুমের ‍ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কার জন্য এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ওপার বাংলার এই সাংসদ-অভিনেত্রী?

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন নুসরাত। নির্বাচনে জিতে বসিরহাটের সাংসদও হন। বিজেপির প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে সাড়ে তিন লাখ ভোটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিলেন তিনি। ওই বছরেরই ১৯ জুন তুরস্কে গিয়ে ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে বিয়ে করেন নুসরাত। এর আগে তাদের প্রেমের কথা খুব বেশি চাউর হয়নি। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। জানা যায়, বিয়ের আগে তারা ভালো বন্ধু ছিলেন।

কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর শোনা যায়, নুসরাত হাসপাতালে। একসঙ্গে অনেক ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রাথমিক ভাবে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। ফুলবাগান থানায় তার ‘ড্রাগ ওভারডোজ’ নিয়ে রিপোর্টও করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে গুঞ্জন রটে, আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলেন অভিনেত্রী। তবে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থতার কথা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেয় নুসরাতের পরিবার।

এরপর ২০২০ সালে ‘এসওএস কলকাতা’ ছবির শুটিং এই নায়িকার জীবনে মোড় ঘোরানো ঘটনা। ওই ছবির সেটেই অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রেমে পড়েন নুসরাত। এর আগে ২০১৭ সালে ‘ওয়ান’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে তাদের বন্ধুত্ব হয়। তবে ‘এসওএস কলকাতা’ ছবির শুটিংয়ের পর থেকে তাদের কখনও মরুশহরে, কখনও বা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে, আবার কখনও একই গাড়িতে দেখা যায়। ধীরে ধীরে প্রকাশ হতে থাকে তাদের প্রেমের কাহিনি।

অন্যদিকে, প্রশ্ন উঠতে থাকে নিখিলের সঙ্গে নুসরাতের সম্পর্ক নিয়ে। ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়ে গেছে, ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা আলাদা থাকছেন। নিখিল রয়েছেন দিল্লিতে আর নুসরাত তার বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে থাকছেন প্রেমিক যশের সঙ্গে। তার মধ্যে গত ৪ জুন গুঞ্জন ওঠে, নুসরাত মা হতে চলেছেন। কানাঘোষা চলছে, এ সন্তানের বাবা যশ দাশগুপ্ত। ইতোমধ্যে নায়িকার বেবি বাম্পের ছবিও প্রকাশ হয়েছে।

এদিকে, নুসরাতের মা হতে চলার খবর শুনে নিখিল আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, এ সন্তানের বাবা তিনি নন। নিখিল বলেন, তিনি যে দিনই জানতে পেরেছিলেন, নুসরাত অন্য কারও সঙ্গে থাকতে চান, সে দিনই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে নুসরাত জানিয়ে দেন, তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে তাদের বিয়ে অবৈধ। দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের বিয়ের জন্য ভারতে যে আইন রয়েছে, তাও মেনে বিয়ে হয়নি। তাই তারা এত দিন লিভ ইন করেছেন।

এছাড়া নিখিলের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগও এনেছেন নুসরাত। জানিয়েছেন, মধ্য রাতে বেআইনি ভাবে তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন নিখিল। নুসরাত এবং তার গোটা পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি নিখিলের দায়িত্বে রয়েছে। নিখিলের পরামর্শেই তার কাছে সমস্ত নথি রেখে দিয়েছিলেন নুসরাত। তবে এই সমস্ত অভিযোগের জবাবে নুসরাতের উদ্দেশে নিখিল একটা কথাই বলেছেন, ‘আদালতে দেখা হবে।’

নিখিলকে একসময় বসিরহাটের জামাই, কলকাতার জামাই বলে পরিচয় দিতেন নুসরাত। এছাড়া লোকসভার ওয়েবসাইটেও তার স্বামীর নাম নিখিল জৈন লেখা রয়েছে। তাই তাদের বিয়েকে ‘লিভ ইন’ আখ্যা দেয়ায় নানা রকম কুকথা ও কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন নুসরাত। অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ, সংসার, পরিবার, যশ- নুসরাতের ব্যক্তিগত জীবনের এই টানাপড়েনের প্রভাব কি তার রাজনৈতিক জীবন এবং পেশাগত জীবনে পড়বে? ঘটনা কোন দিকে মোড় নেবে এবার?

ঢাকাটাইমস/১২জুন/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :